দলের লক্ষ্য পূরণ হয়েছে, এবার পারিবারিক দায়িত্ব পালনের পালা। পরিবারের অসুস্থ সদস্যদের পাশে থাকতে দেশে ফিরে আসছেন সাকিব আল হাসান। শুধু ওয়ানডে দলে থাকা ক্রিকেটারদের সঙ্গে গতকালই দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে দেশের পথে রওনা হয়েছেন সাকিব। প্রথম টেস্টে তাকে নিশ্চিতভাবেই পাচ্ছে না দল, তবে আশা আছে দ্বিতীয় টেস্টে পাওয়ার।
সাকিবের মা, শ্বাশুড়ি ও সন্তানেরা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। দক্ষিণ আফ্রিকায় দ্বিতীয় ওয়ানডের পর থেকেই তার দেশে ফেরা নিয়ে আলোচনা চলছিল। শেষ ওয়ানডে না খেলে দেশে ফেরার আয়োজনও এগিয়ে গিয়েছিল অনেক দূর। তবে অসুস্থ স্বজনদের শারীরিক অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল হওয়ায় সাকিব শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নেন সিরিজ শেষ করেই ফেরার। সাকিবের থেকে যাওয়া আশীর্বাদ হয়েই আসে বাংলাদেশ দলের জন্য। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে দারুণ বোলিংয়ে তিনি নেন দুই উইকেট। পরে ব্যাট হাতে শেষ সময়ে তামিম ইকবালের সঙ্গে জুটিতে দলকে পৌঁছে দেন কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে। জয়সূচক বাউন্ডারি আসে তার ব্যাট থেকেই। সিরিজের প্রথম ম্যাচে তিনি ছিলেন ম্যান অব দ্য ম্যাচ।
দলকে জেতানোর পর এবার পরিবারের পাশে থাকতে ফিরে আসছেন সাকিব। ৩১ মার্চ থেকে ডারবানে শুরু হতে যাওয়া প্রথম টেস্টে তার না খেলা একরকম নিশ্চিতই। তবে বিসিবি পরিচালক ও বোর্ডের মিডিয়া কমিটির প্রধান তানভীর আহমেদ দক্ষিণ আফ্রিকায় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, দ্বিতীয় টেস্টে সাকিবকে পাওয়ার আশা কিছুটা আছে, ‘আপনারা সবাই জানেন, এটা মেডিকেল কন্ডিশন। কেউ আগে থেকে কিছু বলতে পারছে না। যদি সব কিছু ঠিক থাকে, সাকিব বলেছে সে ফিরে এসে দলের সঙ্গে যোগ দেবে। যদি সম্ভব হয় তার পক্ষে, তাহলে সে যোগ দেবে (প্রথম টেস্টে)। তারপরও যদি না হয়, তাহলে দ্বিতীয় টেস্টের জন্য চেষ্টা করবে। আমি যে বার্তাটা দিতে পাচ্ছি, সাকিব খুব করে চেষ্টা করছে টেস্ট সিরিজ খেলার। সে খেলতে চায়। আমরা (ওয়ানডে) সিরিজ জয় করলাম তাকে নিয়ে। টেস্টেও আমরা চাচ্ছি জিততে। এজন্য সাকিব ফিরে এসে খেলতে আগ্রহী, যদি সবকিছু ঠিক থাকে।’
দ্বিতীয় টেস্ট ৭ এপ্রিল থেকে, পোর্ট এলিজাবেথে। দক্ষিণ আফ্রিকায় এখনও পর্যন্ত ৬ টেস্ট খেলে সবকটিতে হেরেছে বাংলাদেশ, ৫টিতেই ইনিংস ব্যবধানে। আরেকটি টেস্টে হার ৩৩৩ রানে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন