শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খেলাধুলা

১১ বছরের খরা কাটল অস্ট্রেলিয়ার

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৬ মার্চ, ২০২২, ১২:০০ এএম

পাকিস্তান সর্বশেষ করাচি টেস্টে মহাকাব্যিক ড্রয়ের গল্প লেখেছিল। লাহোরে অবশ্য লড়াই চললেও বীরোচিত কিছুর জন্ম দিতে পারলো না স্বাগতিকরা। ৩৫১ রানের লক্ষ্য দিয়েও তৃতীয় টেস্ট তাদের ১১৫ রানে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তাতে প্রথম দুই টেস্ট ড্রয়ের পর ১-০ তে সিরিজ নিষ্পত্তি করেছে সফরকারী দল।
গতকাল এই জয়ের মধ্য দিয়ে এশিয়ায় ১১ বছরের খরা কাটিয়েছে অজিরা। পাশাপাশি ২০১৬ সালের পর জিতলো প্রথম অ্যাওয়ে টেস্ট সিরিজ। অবশ্য ২৪ বছর আগে সর্বশেষ পাকিস্তান সফরেও একই ব্যবধানে (১-০) টেস্ট সিরিজ জিতেছিল মার্ক টেলরের অস্ট্রেলিয়া দল। ফলে ঐতিহাসিক সিরিজটি দিয়ে অতীতের সুখস্মৃতিও ফিরিয়ে এনেছে প্যাট কামিন্সরা। তবে পঞ্চম দিনে অজিরা ভালো করেই বুঝতে পেরেছিল জয়ের পথটা মোটেও সহজ হবে না। প্রতিটি সেশনে রং বদলানো টেস্টের শেষ সেশনেই মিললো রোমাঞ্চকর সমাপ্তি। তৃতীয় সেশনেই পড়েছে ৫টি উইকেট!
দিনের শুরুতে ফিরে যান ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক। চতুর্থ দিন ৪২ রানে অপরাজিত থাকা আরেক ওপেনার ইমাম উল হক হাফসেঞ্চুরি পেয়েছেন ঠিকই। কিন্তু সেটি সেঞ্চুরিতে রুপ দিতে পারেননি। পরে প্রতিরোধ গড়ার যা চেষ্টা তা শুধু করতে পারলেন বাবর আজম। ৫৫ রান উপহার দিয়ে চা বিরতির পর তার ফিরতেই শেষ হয়ে যায় সব আশা। বাকিরা সেভাবে অবদানই রাখতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ২৩৫ রানে গুটিয়েছে পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংস।
দ্বিতীয় ইনিংসে অফস্পিনার নাথান লায়নই ঘূর্ণি জাদুতে বাজিমাত করেছেন। ৮৩ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট। অধিনায়ক প্যাট কামিন্সও ২৩ রানে নেন ৩ উইকেট। দুই ইনিংসে ৮ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা তিনি। মোট ৪৯৬ রান করে সিরিজসেরা উসমান খাজা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস : ১৩৩.৩ ওভারে ৩৯১ (উসমান খাজা ৯১, ক্যামেরন গ্রিন ৭৯, অ্যালেক্স ক্যারি ৬৭, স্টিভেন স্মিথ ৫৯; নাসিম শাহ ৪/৫৮, শাহীন আফ্রিদি ৪/৭৯) ও ২য় ইনিংস : ২২৭/৩ ডিক্লে. (খাজা ১০৪*, ওয়ার্নার ৫১; নাসিম ১/২৩, শাহীন ১/৪৫, নুমান ১/৫৫) পাকিস্তান ১ম ইনিংস : ১১৬.৪ ওভারে ২৬৮ (আব্দুল্লাহ শফিক ৮১, আজহার আলী ৭৮; প্যাট কামিন্স ৫/৫৬, স্টার্ক ৪/৩৩) ও ২য় ইনিংস : ৯২.১ ওভারে ২৩৫ (ইমাম ৭০, বাবর ৫৫; নাথান লায়ন ৫/৮৩, কামিন্স ৩/২৩) ফল : অস্ট্রেলিয়া ১১৫ রানে জয়ী সিরিজ : অস্ট্রেলিয়া ১-০ ব্যবধানে জয়ী। ম্যাচসেরা : প্যাট কামিন্স (অস্ট্রেলিয়া)। সিরিজসেরা : উসমান খাজা (অস্ট্রেলিয়া)

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন