ভারত ও বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের মাঝে তখন ৬টি বলের হিসাব। জয়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার দরকার ছিল ৭ রান। জয় বা হার, যেটাই হতো, সেটাতে দক্ষিণ আফ্রিকার কোনো ক্ষতি-বৃদ্ধি ছিল না। আগেই শেষ চার নিশ্চিত করে ফেলেছে তারা। কিন্তু তাদের হার-জিতের ওপর নির্ভর করছিল ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিশ্বকাপ-ভাগ্য। ভারত জিতলে শেষ চারে উঠবে, বাদ পড়বে ওয়েস্ট ইন্ডিজ- হিসাবটা ছিল এ রকমই।
কিন্তু শেষ ৬ বলের সমীকরণটা মেলাতে পারেনি ভারত। অধিনায়ক মিতালি রাজ বল দিয়েছিলেন স্পিনার দীপ্তি শর্মার হাতে। প্রথম বলে ১ রান দেন, দ্বিতীয় বলে আউট তৃষা ছেত্তি। পরের দুই বলে দুটি সিঙ্গেল নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ ২ বলে সমীকরণ দাঁড়ায় ৩ রানের। দিপ্তীর বলে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন মিগনন ডু পেরেজ, ফিরে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু ‘নো বল চেক’ করে আম্পায়ার তাঁকে ফিরিয়ে আনেন।
এবার ভারতের কাজটা কঠিন হয়ে যায়। সমীকরণ দাঁড়ায় ২ বলে ২ রান। ফ্রি হিটে ১ রান নেন ইসমাইল। শেষ বলে ডু পেরেজ ম্যাচ জেতান দক্ষিণ আফ্রিকাকে। ২৭৫ রানের লক্ষ্য শেষ বলে পেরোতে ৭ উইকেট হারিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েরা। নাটকীয় এই হারে বিশ্বকাপের প্রথম পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয়েছে ভারতকে। শেষ চারে অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ডের সঙ্গী হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে ৭৯ বলে ১১ চারে সর্বোচ্চ ৮০ রান করেন উদ্বোধনী ব্যাটার লরা ভলভারডট। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান ডু পেরেজের ৫২*।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৭৪ রান করে ভারত। মিতালির দল এ রান করতে পারে দুটি বড় জুটিতে ভর করে। উদ্বোধনী জুটিতে স্মৃতি মান্ধানা ও শেফালি ভর্মা মিলে তোলেন ৯১ রান। মান্ধানা ৬ চার ও ১ ছয়ে ৮৪ বলে ৭১ রান করে আউট হন। শেফালি ৮ চারে ৪৬ বলে করেন ৫৩ রান। মিতালি-মান্ধানা তৃতীয় উইকেট জুটিতে তুলেছেন ৮০ রান। মিতালি ৮৪ বলে করেন ৬৮ রান।
এ ম্যাচে অর্ধশতক করে একটি ভারতীয় রেকর্ড গড়েন ৩৯ বছর বয়সী মিতালি। বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি বয়সে অর্ধশতক করা ভারতীয় ব্যাটার হয়ে গেছেন তিনি। বিশ্বকাপে ভারতের সর্বকনিষ্ঠ অর্ধশতক করা খেলোয়াড়ও তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন