শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খেলাধুলা

সাকিবকে মাশরাফির টুপিখোলা শ্রদ্ধা

দ্বিতীয় টেস্টে পাওয়ার আশা বাড়ছে

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৮ মার্চ, ২০২২, ১২:৩৬ এএম

দক্ষিণ আফ্রিকায় এবার যেতেই চাননি সাকিব। মানসিক অবসাদের কারণে বিশ্রাম চেয়েছিলেন। যদিও পরে গিয়েছেন। তবে দুই ম্যাচ খেলতেই জানতে পারলেন তার প্রায় পুরো পরিবারের সবাই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে। তারপরও দেশে না ফিরে থেকেছেন দক্ষিণ আফ্রিকায়। দলের ঐতিহাসিক সিরিজ জয়েও রেখেছেন দারুণ অবদান। আর সাকিবের এমন নিবেদনে তাকে টুপি খোলা অভিনন্দন জানিয়েছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা।

গতকাল মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের একাডেমী মাঠে দলের অনুশীলনে আসেন মাশরাফি। অনুশীলনের এক ফাঁকে সাকিবের নিবেদন নিয়ে কথা বলেন লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের এ ক্রিকেটার, ‘সাকিবের যেটা হয়েছে, বাসার ৪-৫ জন অসুস্থ ছিল। আমাদের অবশ্যই সাকিবের ত্যাগটা দেখতে হবে। সে চাইলে চলে আসতে পারতো। সে থেকে গিয়ে দলকে সমর্থন দিয়েছে। এটা অবিশ্বাস্য, কারণ এক-দুইজন না, সবাই অসুস্থ ছিল।’
আর এ সকল কারণেই বেশি সাকিবকে বিশেষ অভিনন্দন জানিয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক এ অধিনায়ক, ‘সবচেয়ে বড় ব্যাপার সে সিরিজটা জিততে চেয়েছিল। এটা কিছুটা স্বার্থপরের মতো বলা হয়ে যাবে, আমার দৃষ্টিকোণ থেকে। কারণ দিন শেষে তার পরিবারের সবাই অসুস্থ ছিল। দিন শেষে এটা সাকিবের সিদ্ধান্ত ছিল। সাকিব দুই দিক সামলে দারুণভাবে নিতে পেরেছে, এটা আমি মনে করি হ্যাটস অফ টু সাকিব।’
পরিবারের পাঁচ সদস্য হাসপাতালে থাকায় দ্বিতীয় ওয়ানডে শেষে দেশে ফেরার কথা ছিল সাকিবের। তবে পারিবারের সদস্যদের অবস্থার উন্নতি হওয়ায় থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। পরে তৃতীয় ওয়ানডে শেষেই দেশে ফিরেছেন সাকিব।
এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকায় সিরিজ জিতে নতুন এক ইতিহাস রচনা করে বাংলাদেশ দল। সেঞ্চুরিয়নে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচ জয়ের মূল অবদান তাসকিন আহমেদের। একাই পাঁচ উইকেট নিয়েছেন তাসকিন। তবে সাকিবের অবদানও কম নয়। পেয়েছেন দুটি উইকেট। দলের জয়সূচক রানটাও আসে তার ব্যাট থেকে। আর প্রথম ম্যাচ জয়ের মূলনায়কই ছিলেন তিনি।
তবে সাকিবের জন্য কিছুটা স্বস্তির খবর হচ্ছে স্ত্রী উম্মে আহমেদ শিশির ও মেয়ে ইরাম আল হাসান হাসপাতাল ছেড়ে বাসায় ফিরেছেন গতকাল। ঠান্ডা জ্বরে ভোগা ছেলে ইজাহ আল হাসান ভালো আছে। অনেক দিন পর বড় মেয়ে অ্যালাইনা হাসান আবারও বাবা-মা, ভাই, বোনকে কাছে পেয়েছে। যদিও এখনও হাসপাতালের চক্কার খেতে হচ্ছে সাকিবকে। হার্টের সমস্যা থেকে ঠান্ডাজনিত কারণে ফুসফুসের ইনফেকশন নিয়ে হাসপাতালেই রয়েছেন মা শিরিন রেজা। তবে দুরারোগ্য ব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত শাশুড়ির শরীর খুব একটা ভালো নেই। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি। উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে নেওয়া হবে কিনা এ ব্যাপারে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে পরিবার।
তবে পরিবারের অন্য সদস্যরা একে একে ঘরে ফেরায় মানসিকভাবে দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্ট খেলার জন্য প্রস্তুত হতে পারবেন সাকিব। পোর্ট এলিজাবেথে দ্বিতীয় টেস্টে খেলতে পারেন তিনি। নিজেকে সেভাবে প্রস্তুত করছেন বাঁহাতি এ অলরাউন্ডার। যদিও দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্ট খেলার জন্য সাকিবকে চাপ দেবেন না টিম ম্যানেজমেন্ট বা বিসিবির কেউই। ৩১ মার্চ থেকে ৪ মার্চ ডারবানে হবে প্রথম টেস্ট। ৭ থেকে ১১ এপ্রিল দ্বিতীয় টেস্ট। সেক্ষেত্রে পরিবারের সঙ্গে আরও কয়েকটা দিন দেশে থেকে যেতে পারছেন ৩৫ বছর বয়সী সব্যসাচী এ ক্রিকেটার।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন