গত সাড়ে আট বছরে এ পর্যন্ত ১৪ হাজারেরও বেশি দাবি পেয়েছি এবং তাদের সবগুলি ৭ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করা হয়েছে। এটি জীবনবীমা খাতে স্বপ্নের মতো। এছাড়াও করোনা সঙ্কটেও আমরা ২০২০ সালে বছরে ৭০ শতাংশ এবং ২০২১ সালে ১৪০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি। ২০১৯ সালের ৮১ কোটি টাকার গ্রস প্রিমিয়াম ২০২০ সালে বেড়ে ১৩৫ কোটি এবং ২০২১ সালে তা ৩২০ কোটি হয়েছিল। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কথাগুলো বলছিলেন সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের সিইও মীর রাশেদ বিন আমান।
সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, সময়মত দাবি নিষ্পত্তি এবং বিশ্বমানের গ্রাহক সেবার কারণে আমরা বিভিন্ন পরিসরের গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করছি। সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি সর্বাধিক আধুনিক ডিজিটাল পরিষেবা সরঞ্জাম ব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন পরিসরের গ্রাহকদের চাহিদা পূরণ করে এবং এইভাবে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনার লক্ষ্য রাখে। সদ্য আপডেট হওয়া মোবাইল অ্যাপের লঞ্চ এইসত্যের প্রমাণ যে সোনালী লাইফ ক্রমাগত উন্নত গ্রাহক পরিষেবা নিশ্চিত করে তার পরিষেবাগুলিকে উন্নত করে চলেছে।
সাক্ষাতকারে রাশেদ বলেন, বীমা শিল্প সঠিক পথে চলছে, সংশ্লিষ্ট সকল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান যদি একইপথে এগিয়ে যায়, তাহলে এখাত বিকশিত হবে। আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল জীবনবীমা খাতের নেতিবাচক দিকগুলি দূর করা। নেতিবাচক দিকগুলির কারণে, এতবছর পরেও, বাজার অনুপ্রবেশ প্রত্যাশা অনুযায়ী হচ্ছে না। বাজার অনুপ্রবেশ সম্ভব, যদি আমরা নেতিবাচক থেকে ইতিবাচক পরিবর্তনের দিকে এগিয়ে যেতে পারি। এটি নির্ভরতা এবং আস্থার বিষয়।
সোনালী লাইফের পরিকল্পনার বিষয়ে সিইও বলেন, আমাদের কৌশলগুলি পূর্ব পরিকল্পিত এবং কেন্দ্রীভূত। কীভাবে তারা আমাদের সিস্টেম থেকে উপকৃত হতে পারে এবং কীভাবে তারা তাদের বোনাস, রসিদ, প্রিমিয়াম সার্টিফিকেট, অনলাইন পেমেন্ট ইত্যাদি চেক করতে পারে সে সম্পর্কে তাদের তথ্যদিয়ে আমরা সরাসরি সচেতনতা তৈরি করছি। আমাদের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হয়েছে কারণ সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স প্রথম থেকেই উদ্দেশ্য, প্রতিশ্রুতি, সিস্টেম এবং পরিষেবার দিক থেকে অন্যান্য কোম্পানি থেকে আলাদা। আমরাই প্রথম বীমা কোম্পানি যারা ই-কেওয়াইসি, ই-রসিদ এবং কাস্টমার কেয়ার চালু করেছি।
সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্সের কর্মীদের বিষয়ে মীর রাশেদ বলেন, আমরা আমাদের কর্মীদের একই পরিষেবা বা বিশ্লেষণ প্রদান করার চেষ্টা করেছি যা আমরা আমাদের গ্রাহকদের প্রদান করি। সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স সব সময় তার কর্মীদের দৃষ্টিকোণ থেকে চিন্তা করার চেষ্টা করে। আমাদের কর্মীদের বেশির ভাগই সদ্য স্নাতক পাশ করেছে। সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স সুবিধা, বীমা এবং ভবিষ্যৎ তহবিলের ক্ষেত্রে প্রয়োজন অনুসারে কর্মীদের মধ্যে সন্তুষ্টি তৈরি করার চেষ্টা করে।
বীমা খাত নিয়ে সরকার কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার বীমা খাতে অনেক বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। সরকার ইতিমধ্যে ১লা মার্চ জাতীয় বীমা দিবস ঘোষণা করেছে। তবে আমি মনে করি, প্রস্তাবিত বাজেটে বীমাশিল্পকে ৃৃৃৃ কর্মসংস্থান বৃদ্ধি এবং ট্যাক্স সংক্রান্ত বিষয়ে এখনও এই সেক্টরে অনেক কিছু করা যেতে পারে। আগামী বাজেটে আমরা ভালো কিছু প্রত্যাশা করছি।
বীমা খাতে সোনালী লাইফের যাত্রার বিষয়ে তিনি, আসন্ন আগস্টে, আমরা আমাদের যাত্রার ৯ বছর পূর্ণ করব। আমরা ২০১৩ সালে আমাদের যাত্রা শুরু করেছি। আমরা যে লক্ষ্য নিয়ে শুরু করেছি তা নিয়ে আমরা সফলভাবে এবং আত্মবিশ্বাসের সাথে এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের কর্মীর সংখ্যা ৬০০০ ছাড়িয়েছে। গতবছর আমাদের কোম্পানির সামগ্রিক খরচ ছিল ৪৮ শতাংশ।
সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ভবষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে তিনি বলেন, সোনালী লাইফ শেয়ার হল ক্যাপিটাল মার্কেটে প্রথম ক্যাটাগরির শেয়ার। সারাদেশে আমাদের ১১৭ টির বেশি শাখা রয়েছে। আশা করা যায় যে এই বছর শাখার সংখ্যা ১৩০ ছাড়িয়ে যাবে। আমাদের মোট সম্পদের ভিত্তি ইতিমধ্যে ৪৩০ কোটি অতিক্রম করেছে। আমাদের গ্রস প্রিমিয়াম টার্গেট ২০২২সালের জন্য ৬৫০ কোটি টাকা। আমরা ইতিমধ্যেই আমাদের ২০২১ সালের লক্ষ্যমাত্রার ৩২০ কোটি টাকা অর্জন করেছি। আমাদের কোম্পানির নবায়ন ভিত্তি শিল্পের সর্বোচ্চ গুলির মধ্যে একটি। ২০২১ সালে আমাদের ১ম প্রিমিয়াম ছিল ১৯৯ কোটি টাকা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন