মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ ২০২২ আমরা গত দুই বছর ব্যাপক আনন্দ উৎস মুখর পরিবেশে উদযাপন করতে পারিনি। কারণ বিশ্বব্যাপী যে ভয়ংকর কোভিড পরিস্থিতি ছিলো সে পরিস্থিতির কারনে জনসমাবেশ করা সকলকে নিয়ে একটি কর্মসূচী করা আমাদের কোভিড বিস্তারে রাখতে পারতো সে সংষ্কায় আমরা করিনি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যুযোগ্য নেতৃত্বে যখন কোভিড নিয়ন্ত্রণে এসেছে তখনি আমরা আজকে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি। আমাদের বঙ্গবন্ধুর অভিষ্ঠ লক্ষ ছিলো একটি সার্বভৌমিত্বর স্বাধীন বাংলাদেশ। তার আন্দলন সংগ্রামের মৌলিক একটি লক্ষ ছিলো। দেশ স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধু একটি গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্যে বলেছিলেন মাছ হবে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের ২য় ধাপ। আজ বৃহস্পতিবার মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার সরকারি লৌহজং কলেজ মাঠে মৎস্য অধিদপ্তর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আয়োজিত জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ-২০২২ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সম্মেলনে ভার্চুয়াল কনফারেন্সে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, জাটকা নিধন বন্ধ করতে না পারলে দেশে ইলিশ থাকবে না তাই মৎস্যজীবী, ইলিশ ব্যবসায়ী, আড়তদার, ভোক্তাসহ সকল শ্রেণির জনগণের মাঝে জাটকা রক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরা এবং এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ বছরও ৩১ মার্চ থেকে ০৬ এপ্রিল পর্যন্ত জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ, ২০২২ উদ্যাপন করা হচ্ছে। এবছর জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ হয়েছে 'ইলিশ আমাদের জাতীয় মাছ, জাটকা ধরলে সর্বনাশ'। এবছর দেশের ইলিশ সম্পৃক্ত ২০টি জেলায় জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ, ২০২২ এর কাযর্ক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছ।
আজ বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সাংসদ সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, বাংলাদেশ নৌ পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মো. শফিকুল ইসলাম, জেলার অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট শীলু রায়, জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন, লৌহজং উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন তপন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রশিদ শিকদার, ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী সমিতির কেন্দ্রীয় সাধারণ আনোয়ার হোসেন শিকদার, জাতীয় সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রবীন্দ্র চন্দ্র বর্মন প্রমুখ।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপপরিচালক কৃষ্ণেন্দু সাহা ও মৎস্য অধিদপ্তরের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা তাপসী মরিয়মের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খন্দকার মাহবুবুল হক।
আলোচনা সভা শেষে লৌহজং উপজেলা ভূমি অফিস ঘাট থেকে পদ্মা নদীতে মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ি, লৌহজং, শ্রীনগর, ঢাকার দোহার, মাদারীপুরের শিবচর ও শরীয়তপুরের নড়িয়া, জাজিরা ও ভেদরগঞ্জ উপজেলার জেলেরা নৌ র্যালিতে অংশগ্রহণ করে। এ সময় অতিথিরা বর্ণাঢ্য নৌ র্যালি উপভোগ করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন