শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সম্পাদকীয়

হলগুলোতে খাবারের মান উন্নত করতে হবে

অজয় কান্তি মন্ডল | প্রকাশের সময় : ২ এপ্রিল, ২০২২, ১২:০৮ এএম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গেল বছর তার শততম জন্মবার্ষিকী পালন করেছে। মোট ৪০ হাজারের উপরে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীর এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি বছর ৭ হাজারেরও বেশি নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়। এসব শিক্ষার্থীর নাম ও বিভাগের পাশে তাদের আবাসিক হল বরাদ্দ দেওয়া হয়। কর্তৃপক্ষের এই বরাদ্দ শুধুমাত্র ডকুমেন্টবদ্ধ। অর্থাৎ হলের নাম বরাদ্দ দেওয়া হলেও শিক্ষার্থীরা কত নম্বর কক্ষে বা কত নম্বর আসনে উঠবে সে সম্পর্কে কিছুই উল্লেখ থাকে না। ফলে সেরা মেধার পরিচয় দিয়ে উত্তীর্ণ এসব শিক্ষার্থীর পরবর্তী অধ্যায়গুলো বেশ দুর্বিষহ ও কঠিন হয়ে যায়।

ভর্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে যেসকল শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়, তাদের প্রকৃত যুদ্ধ শুরু হয় হলের আসন পাওয়ার মধ্য দিয়ে। কেননা আবাসিক হলগুলোতে শিক্ষার্থীদের আসন সংখ্যা নিরসনে প্রশাসন যতই নতুন ভবন নির্মাণ করুক না কেন আসনগুলো হলের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের দখলে থাকে। তাই আবাসিক হলে আসন পেতে গেলে একজন শিক্ষার্থীর অনেক কিছুর পরীক্ষা দিতে হয় উক্ত নেতৃবৃন্দের কাছে। নিয়মিত মিছিলে যাওয়া, রুটিন মাফিক হলের অতিথি কক্ষে হাজিরা দেওয়া, তাদের দেখা মাত্রই সালাম দেওয়া, কোথাও বসে থাকলে তাদের দেখামাত্রই উঠে দাঁড়িয়ে সম্মান দেখানোসহ আরও অনেক জটিল ও আজগুবি পরীক্ষা এসবের ভিতরে অন্তর্ভুক্ত। এসব পরীক্ষায় মেধার কোনো মূল্য দেওয়া হয় না। বহু কষ্টে উক্ত পরীক্ষাগুলোতে উত্তীর্ণ হওয়ার পরে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর স্থান হয় গণরুমের মেঝেতে। সেখানে প্রায় শ’ খানেক শিক্ষার্থীর সাথে ঠাসাঠাসি করে কোনরকমে থাকতে হয় তাদের। দেশের আনাচ কানাচ থেকে চান্স প্রাপ্ত শিক্ষার্থীকে অনেক প্রতিকূলতার মাঝে নতুন পরিবেশে তার জন্য খাপ খাইয়ে নেওয়াটাই যেখানে দুর্বিষহ সেখানে হলের আসন প্রতিবন্ধকতা নিঃসন্দেহে তাদের মারাত্মক মানসিক চাপের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

এর সাথে আরও অনেক বেশি পীড়া দেয় আবাসিক হলগুলোর ডাইনিং ও ক্যান্টিনের নিন্মমানের খাবার। কেননা, শিক্ষার্থীদের জন্য দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিনে মানসম্মত খাবার পরিবেশন করা হয় না। কোথাও খাবারের বিশুদ্ধতা নিয়ে বিন্দুমাত্র তোয়াক্কা করা হয় না। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার রান্না, পরিবেশন এবং সর্বোপরি খাবারের পুষ্টিগত মান নিয়ে বরাবরই প্রশ্ন আছে। সুস্থ এবং স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে হলে নিয়মিত শরীর চর্চার পাশাপাশি প্রয়োজন মানসম্মত খাবার। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে খাবারের মান সবসময় নিন্ম। দেশের একটি শীর্ষ স্থানীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী একজন শিক্ষার্থীর দৈনিক ২৮০০-৩০০০ কিলোক্যালোরি পুষ্টি প্রয়োজন। কিন্তু শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন যে খাবার খায় তাতে তাদের গড়ে দৈনিক ১৮২১ কিলোক্যালোরি পুষ্টির চাহিদা পূরণ হয়। ফলে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম অপুষ্টিজনিত রোগে ভোগে।
অধিকাংশ শিক্ষার্থী ইচ্ছার বিরুদ্ধে হলের খাবারের সাথে নিজেদের খাপ খাইয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। একটু ভালো খাওয়ার আশায় খুঁজতে থাকে বিকল্প পথ। কিছু কিছু শিক্ষার্থী অনেকটা নিরুপায় হয়ে সম্পূর্ণ নিজস্ব ব্যস্থাপনায় ব্যক্তিগতভাবে টাকা দিয়ে মেস ব্যবস্থা চালু করে। এ সকল মেসে খুব ভালো মানের খাবার পরিবেশন করা হয়। পাশাপাশি প্রতি ১৫ দিনে একবার করে বিশেষ খাবারের (ফিস্ট) আয়োজনও করা হয়। এসকল মেসের প্রতিটি মিল বাবদ শিক্ষার্থীদের খরচ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক পরিচালিত ক্যান্টিনের গড় খাওয়া খরচের চেয়ে কোন অংশে বেশি নয়, বরং কমই। পক্ষান্তরে, এসকল মেচে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও খাবারের মেন্যুতে অনেক ভিন্নতা আনা হয়। যেগুলো একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আদর্শ খাবারের আওতায় পড়ে। কম টাকায় এত ভালো খাবারের পেছনের প্রধান কারণ হলো এখানে মুনাফা লাভের জন্য কেউ ব্যবসায়িক মনোভাব পোষণ করে না। কিন্তু এখানেও কিছু সমস্যা আছে। যেমন সীমিত সংখ্যক সদস্য নিয়ে এসব মেসের কার্যক্রম চলে। তাই যে কেউ ঐ ডাইনিংয়ের সদস্য হতে পারে না। অনেক ক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠতা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের সেখানে সদস্য হতে হয়। এজন্য তুলনামূলক জুনিয়রদের ভোগান্তি লেগেই থাকে। পক্ষান্তরে নিজস্ব ব্যবস্থাপনার চালুকৃত এসকল মেসের তত্ত্বাবধায়নে শিক্ষার্থীদের বহু মূল্যবান সময় ব্যয় করতে হয়। যেটা পড়ালেখার উপরেও বিরূপ প্রভাব ফেলে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিনগুলো বরাবরই ক্যান্টিন বয় দ্বারা খাবার পরিবেশন ও ধোয়া মোছা বা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার রীতি প্রচলন আছে। কিন্তু দেখা যায়, একদফা খাওয়ার পরে টেবিলগুলো বা খাবারের বাসনাদি ভালো করে পরিষ্কার করা হয় না। খাবারের প্লেট, বাটি ভালোভাবে না পরিষ্কার করেই পুনরায় ব্যবহৃত হয়। দেশের সর্বোচ্চ মেধাবীরা নিন্মমানের খাবার খেয়ে তাদের মেধাকে ধরে রেখেছে, যেটা সত্যিই বিস্ময়কর। এ বিষয়ে বাইরের দেশের দিকে লক্ষ করলে দেখা যায়, সেখানে শিক্ষার্থীদের খাবারের বিষয়টা সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেওয়া হয়। সর্বোচ্চ নিশ্চিত করা হয় ক্যান্টিনের পরিবেশিত খাবারের পুষ্টিমান ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা। এ প্রসংগে চীনের দিকে সামান্য নজর দিতে চাই।

চীনে থাকার সুবাদে দেখেছি, এখানকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ডাইনিং ব্যবস্থাসমূহ সত্যিই প্রশংসানীয়। প্রতিটা ছাত্রছাত্রীর আবাসিক হলগুলোর কাছাকাছি তিন থেকে চারতলা বিশিষ্ট ডাইনিং ভবন অবস্থিত। ভবনগুলোর প্রতিটি ফ্লোরে আছে প্রায় ১০ থেকে ১৫টি করে পৃথক পৃথক খাবারের ডাইনিং। এসব ডাইনিংয়ের প্রত্যেকটিতে খাবারের বেশ ভিন্নতা লক্ষ করা যায়। যেমন, ফ্রেশ এবং কাঁচা সবজি, মাছ, মাংস, ডিম, নুডুলসসহ বিভিন্ন রকমের খাদ্য সামগ্রী কেটে ও প্রসেস করে আলাদা আলাদাভাবে রাখা হয়। ছাত্রছাত্রীরা যে যার পছন্দ মতো খাবার নিয়ে নিয়ে সেগুলোর ওজনের সাপেক্ষে বিল পরিশোধ করে নির্দিষ্ট কাউন্টারে টোকেন নিয়ে জমা দেয়। অনেকেই জমা দেওয়ার আগে পছন্দের মসলার নাম বলে দেয়। ৫ মিনিটের ভিতর ছাত্রছাত্রীদের রান্নাকৃত খাবার নিয়ে আসার জন্য টিভি পর্দায় টোকেন নাম্বার দিয়ে ঘোষণা আসে। এদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিনগুলো কোনো ক্যান্টিন বয় দ্বারা পরিচালিত হয় না। সকল শিক্ষার্থী নিজেরা সেলফ সার্ভিসের মাধ্যমে ক্যান্টিন থেকে খাবার নিয়ে থাকে। প্রতিটা ফ্লোরে ট্রে, বাটি, চপস্টিক, চামচ জীবাণুমুক্ত করার জন্য একের অধিক ইলেকট্রিক ইনকিউবেটর যন্ত্রের ব্যবস্থা করা আছে। যেগুলোতে পর্যাপ্ত প্লেট, ট্রে, চপস্টিক ইত্যাদি পরিষ্কার করে জীবাণুমুক্ত করার জন্য রাখা হয়। সেখান সকল শিক্ষার্থী সুশৃঙ্খলতভাবে নিজেদের ব্যক্তিগত ট্রে নিয়ে যে যার পছন্দ মতো সাজিয়ে রাখা ভিন্ন ভিন্ন খাবারের মেন্যু থেকে নিয়ে নেয়। ক্যান্টিনগুলোর সাথেই ডিজিটাল স্ক্রিনে খাবারের মেন্যুর সাথে মূল্য দেখানো হয়। এরপর খাবারের মূল্য পরিশোধ করার ব্যবস্থা আছে। সবাই মোবাইলের অ্যাপ বা স্টুডেন্ট কার্ড পাঞ্চ করে খাবারের মূল্য পরিশোধ করে টেবিলে বসে খাওয়া শেষ করে। খাওয়ার পরে ব্যবহৃত প্লেট, চপস্টিক, ট্রে, চামচ পরিষ্কার করার জন্য নির্দিষ্ট জায়গায় রেখে চলে যায়। সেখানে নিয়োজিত ব্যক্তিরা সেগুলোকে পরিষ্কার করে পুনরায় ব্যবহার উপযোগী করে।

চীনারা খুবই ভোজন রসিক এবং প্রদেশভেদে খাবারের বেশ ভিন্নতা লক্ষ করা যায়। তাই সব প্রদেশের ছাত্রছাত্রীরা ডাইনিংগুলোতে যে যার মনের মতো পছন্দের খাবার খাওয়ার সুযোগ পায়। এছাড়াও ডাইনিংগুলোতে যাবতীয় ফাস্ট ফুড যেমন বার্গার, পিজ্জা, ফ্রেন্স ফ্রাই, কফি, আইসক্রিম, কোমল পানীয়সহ নানারকমের খাবারের সুব্যবস্থা আছে। কোথাও কোথাও শিক্ষকদের জন্য আলাদা ফ্লোরে খাবারের ব্যবস্থা থাকলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীদের সাথে সমান তালে শিক্ষকদেরও একই ডাইনিংয়ে খাবার গ্রহণ করতে দেখা যায়। খাবার পরিবেশনে কাউন্টারে যেসকল ব্যক্তি নিয়োজিত থাকে তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনেই যেমন সার্বক্ষণিক মুখে মাস্ক, হাতে গ্লাবস পরে খাবার পরিবেশন করে। তাই খাবারের স্বাস্থ্যগত মান নিয়ে কারও কোনো প্রশ্ন থাকে না। এছাড়া কেউ ফ্রি-তে তাদের খাবার খাবে এই মনোভাব এখানকার কারো নেই।

কিন্তু, আমাদের দেশের দিকে নজর দিলে দেখা যায় পরিস্থিতি খুবই নাজুক। দেশের আবাসিক হলের ক্যান্টিনগুলো ইজারা দেওয়া হয়। যারা ইজারা পায়, নিয়ম অনুযায়ী হলের থেকে একটা নির্দিষ্ট দাম বেঁধে দেওয়া হয়, সে অনুযায়ী তারা খাবার সরবারহ করে। এছাড়া, ক্যান্টিনগুলোর ইজারা নেয় ব্যবসায়ীরা। সেকারণেই ক্যান্টিনের ইজারা নেওয়া মালিকেরা সর্বদাই মুনাফার পিছনে ছোটে। তারা সবসময় ভাবে, বাইরে রেস্টুরেন্ট পরিচালনা করে যতটা লাভবান হওয়া যায় ঠিক একই পরিমাণ লাভ ক্যান্টিন থেকেও পাওয়া যাবে। আর সে উদ্দেশ্যে বেশি মুনাফা লাভের আশায় খাবারের পুষ্টিগত বা গুণগত মানের ব্যাপারগুলো বরাবরই উপেক্ষা করা হয়। যদি হলের ক্যান্টিন থেকেও একই মুনাফা অর্জনের চিন্তা মাথায় থাকে তাহলো কোনভাবেই কম দামে ভালো মানের খাবার সরবারাহ করা সম্ভব নয়। ক্যান্টিনগুলোতে যদি সত্যিকার অর্থেই শিক্ষার্থীদের কম দামে পুষ্টিকর খাবার সরবারহ করতে হয় তাহলে গতানুগতিক ব্যবসায়ীদের কাছে ক্যান্টিন ইজারা দেওয়া যাবে না এবং ক্যান্টিন মালিকদের অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে বাইরের রেস্তোরাঁ আর আবাসিক হলের ক্যান্টিন এক জিনিস না। সেকারণে মুনাফার ক্ষেত্রেও উক্ত বিষয় দুইটি কখনো তুলনায় আনা যাবে না।

খাবারের মানের উন্নয়নের ব্যাপারে ক্যান্টিন মালিকদের কিছু বক্তব্য প্রায় শোনা যায়। বরাবরই তারা কিছু দোহাই দিয়ে থাকে। যেমন, দেশের প্রায় সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধিক সংখ্যক রাজনৈতিক দল আছে। ক্ষমতাসীন এসব রাজনৈতিক দলের অধিকাংশ নেতা বিনা পয়সায় ক্যান্টিনে খেয়ে থাকে বলে ক্যান্টিন মালিকরা প্রায় অভিযোগ করে। ফলে ক্যান্টিন মালিকরা ভালো খাওয়ানোর চেষ্টা করলেও কিছু মানুষের বিনা পয়সায় খাওয়া ক্ষতি পুষিয়ে নিতে গেলে সেটি আর সম্ভব হয়ে ওঠে না। দেশের প্রেক্ষাপটে এটা অসম্ভব কিছু না। তাই ক্যান্টিন মালিকদের এই অভিযোগ অবশ্য উড়িয়ে দেওয়া যায় না। কিন্তু বিষয়টিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন যদি গুরত্বের সাথে নেয় তাহলেও এই অনিয়ম থেকে সহজেই উত্তরণ সম্ভব। এছাড়াও ক্যান্টিনে খাবার পরিবেশন করার জন্য যেসকল ক্যান্টিন বয় নিয়োজিত থাকে, তাদের খাওয়াদাওয়া ও বেতন ভাতা বাদ দিয়ে ক্যান্টিনে ভালো মানের খাবার পরিবেশন করা সম্ভবপর হয়ে ওঠে না।

সরকারের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য প্রতি বছর মোটা অঙ্কের টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এই টাকার সুষ্ঠু বণ্টনের সময় খাবারের জন্য একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা বরাদ্দ রেখেই বাজেট প্রণয়ন করাটাই শ্রেয়। এক্ষেত্রে অবশ্যই নিত্যপণ্যের সমসাময়িক বাজার দর মাথায় রেখে খাবারের বাজেট প্রণয়ন করতে হবে। এছাড়াও বাড়তি বাজেটের প্রতিফলন আদৌ খাবারের উপর পড়ছে কিনা সেবিষয়ে অবশ্যই হল কর্তৃপক্ষের নিয়মিত তদারকি করা দরকার। বিষয়গুলো যথাযথ কর্তৃপক্ষ অধিক গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করলে অচিরেই সমস্যা সমাধান আশা করা যায়। এছাড়া প্রয়োজনে ক্যান্টিনগুলোতে খাবার সাপ্লাই দেওয়ার জন্য ক্যান্টিন বয়দের বাদ দিয়ে সেলফ সার্ভিস ব্যবস্থা চালু করা যেতে পারে। পক্ষান্তরে সেই অর্থ খাবারের মান উন্নয়নের পিছনে ব্যয় করলে খাবারের মান নিশ্চয়ই ভালো হবে। প্রতিদিনকার খাবারের মেন্যু নির্ধারণের আগে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে উপযুক্ত খাবার বাছাই করে প্রতি মাসের জন্য সুষম মানের খাবারের মেন্যুর লিস্ট করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে পুষ্টিবিদদের সহায়তা নেয়া যেতে পারে। এসব লিস্ট ক্যান্টিনগুলোতে ঠিকমত মানা হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিয়মিত তদারকি টিম করে দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোর হাউজ টিউটররা নিয়মিত এই তদারকির দায়িত্ব নিতে পারে।

লেখক: গবেষক, ফুজিয়ান এগ্রিকালচার এন্ড ফরেস্ট্রি ইউনিভার্সিটি, ফুজো, ফুজিয়ান, চীন।
ajoymondal325@yahoo.com

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন