গতরাতেই হয়ে গেছে কাতার বিশ্বকাপের বহুল প্রতীক্ষিত ড্র। তবে তার আগে বাছাইয়ের গণ্ডি পেরুনোর রোমাঞ্চে পা হড়কেছে ইতালির মতো দলের। ইউরোপিয়ান প্লে-অফের সেমি-ফাইনালে নর্থ মেসিডোনিয়ার কাছে ১-০ গোলে হেরে বাছাইয়েই শেষ হয়ে যায় আজ্জুরিদের বিশ্বকাপে ফেরার অভিযান। ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপেও বাছাই পার হতে পারেনি গত বছরে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ীরা। অথচ সেই মেসিডোনিয়াকে প্লে-অফের ফাইনালে হারিয়েই বিশ্বকাপে জায়গা করে নেয় পর্তুগাল। ইতালিহীন টানা দুটি বিশ্বকাপ নিয়ে হা-পিত্তেশের অন্ত নেই। সেই হা-হুতাশে কি তাহলে কাজ হতে চলেছে!
আন্তর্জাতিক ম্যাচে স্টেডিয়ামে নারী দর্শকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কাতার বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার শঙ্কায় ইরান। ফিফা যদি তাদের বিশ্বকাপ থেকে বেরই করে দেয়, তাহলে সুযোগ পেতে পারে ইতালি। এমনটাই বলছে ইতালিয়ান গণমাধ্যম। ইল মাত্তিনো ও অন্য ইতালিয়ান গণমাধ্যমের দাবি, বিশ্বকাপ থেকে ইরান ছিটকে গেলে ফিফার নির্বাচিত তালিকার শীর্ষে থাকবে ইতালি।
বেশ কিছু ইতালিয়ান গণমাধ্যম আউটলেট বলছে, ইরান ছিটকে গেলে এখনো বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ আছে ইতালির। ফিফা বর্তমানে ইরানকে নিষিদ্ধ করার কথা ভাবছে এবং যদি সেটা হয়, তাহলে তাদের বদলে আরেকটি দলকে নিতে হবে। ইতালিয়ান সংবাদপত্র রাই নিউজ বলছে, ফিফার এই স্থলাভিষিক্তের তালিকায় সবার উপরে আছে ইতালি। কারণ তাদের আন্তর্জাতিক র্যাংকিং উপরের দিকে এবং ইউরোপের চ্যাম্পিয়নও। আরেক ইতালিয়ান সংবাদপত্র লা স্তাম্পা বলছে, ফিফা র্যাংকিং ছয়ে থাকাই ইতালির একমাত্র সুযোগ।
১৯৭৯ সালে ইসলামী প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পর থেকে ইরানে ফুটবল ও অন্য খেলায় স্টেডিয়ামে নারীদের নিষিদ্ধ করা হয়। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে ফিফা ইরানকে স্টেডিয়ামে দর্শক প্রবেশের নির্দেশ দেয়। গত জানুয়ারিতে তিন বছরে প্রথমবার আন্তর্জাতিক ম্যাচে নারী দর্শকদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়। কিন্তু গত মঙ্গলবার রাতে লেবাননের বিপক্ষে ইরানের ম্যাচে ফের নিষিদ্ধ করা হলো তাদের।
২০২২ কাতার বিশ্বকাপ মাঠে গড়াবে আগামী নভেম্বরে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন