সারা দেশ থেকে ক্রিকেটারদের প্রতিভা অন্বেষণ বড় মঞ্চ স্কুল ক্রিকেট। প্রতিবছরই মাঠে গড়ায় বাংলাদেশের সবচেয়ে বৃহৎ এই ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আয়োজনে এবার বেশ জমজমাট ভাবে বড়সড় পরিসরে হচ্ছে জাতীয় স্কুল ক্রিকেট টুর্নামেন্ট।
দেশের ৬৪ জেলার ৩৫০টি স্কুল দল নিয়ে আগামী ৫ এপ্রিল মাঠে গড়াবে ব্যাট-বলের এই লড়াই। এবারের জাতীয় স্কুল ক্রিকেট টুর্নামেন্টে একাধিক নতুনত্ব রেখেছে বিসিবি। প্রতিবছর নিয়ম করে স্কুল ক্রিকেট আয়োজন হলেও করোনাভাইরাসের কারণে ২০২০ সালে স্থগিত হয়ে যায় সেবারের আসর।
তবে এ মহামারি করোনার কারণে ২০২১ সালে স্কুল ক্রিকেটের উৎসব হয়নি। এবার নতুন মোড়াকে আবার শুরু হচ্ছে স্কুল ক্রিকেট। পৃষ্ঠপোষক হিসেবে আগের চুক্তি শেষ হওয়ায় এই টুর্নামেন্টের জন্য বিসিবির সঙ্গে প্রাইম ব্যাংক নতুন করে চার বছরের চুক্তি সেরেছে। শনিবার (২ এপ্রিল) মিরপুরে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে স্কুল ক্রিকেট নিয়ে নিজেদের ভাবনা তুলে ধরে বিসিবি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বোর্ডের বয়সভিত্তিক কমিটির চেয়ারম্যান ওবেদ রশীদ নিজাম, আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠু, প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজন ও প্রাইম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাসান রশীদ।
এসময় বক্তারা জানান, এবারের আসরে বেশ কিছু নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে ক্রিকেট বোর্ড। যেখানে থাকছে স্কলারশিপ সুবিধা এবং নারী আম্পায়ারদ্বারা ম্যাচ পরিচালনার ভাবনা। ইতোমধ্যে অংশগ্রহণকারী স্কুলগুলো এবং ক্রিকেটারদের ডাটাবেজ তৈরির কাজ সম্পন্ন করেছে বিসিবি। ৭০০০ ক্রিকেটার নিয়ে হতে যাওয়া এই টুর্নামেন্ট শেষে বৃত্তি দেয়া হবে শীর্ষ ক্রিকেটারদের। বাছাই করা হবে সেরা ১৫ জন ক্রিকেটার। তাদের বিশেষ ক্যাম্পের আওতায় এনে প্রশিক্ষণ দেওয়ার পাশাপাশি দেশ ও দেশের বাইরে টুর্নামেন্ট খেলার সুযোগ করে দেওয়া হবে। ভারত, শ্রীলঙ্কা সফরে পাঠানোর ভাবনা আছে বিসিবির।
এছাড়া স্কুল ক্রিকেটে এবার থাকছেন ২৫ জন নারী আম্পায়ার। এমনকি নারী স্কোরার রাখার ভাবনা আছে ক্রিকেট বোর্ডের। এবার সবমিলিয়ে ৬৫৩টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি আগামীতে জাতীয় স্কুল ক্রিকেটে মেয়েদের টুর্নামেন্ট আর লঙ্গার ভার্সন ফরম্যাট চালু করার আশাবাদও ব্যক্ত করেছেন বিসিবির কর্তারা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন