উশুকাদের লক্ষ্য এশিয়াডে নিয়মিত নিজেদের প্রদর্শন করা। বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) মাধ্যমে আবেদন করলেও চীনের হ্যাংজু থেকে ডাক পাওয়ার আশায় রয়েছে বাংলাদেশ উশু ফেডারেশন। তবে আগামী ২০ থেকে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত চীনের শ্যান্টোতে অনুষ্ঠেয় এশিয়ান যুব গেমসে প্রথমবার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে লাল সবুজের উশু। দুজন উশুকা খেলবেন ওই আসরে।
বাংলাদেশ উশু ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক দুলাল হোসেন এ প্রসঙ্গে শনিবার বলেন, ‘২২ জন উশুকা নিয়ে আমরা ঈদের পর এশিয়ান গেমস ও এশিয়ান যুব গেমসের অনুশীলন শুরু করবো। পদক জয়ের যোগ্যতা প্রমাণে আমরা বদ্ধপরিকর।’ ফেডারেশনের সাংগঠনিক কমিটির সহ-সম্পাদক লায়ন খন্দকার মো. সেলিম বলেন, ‘যুব গেমসে আমাদের উশুর খেলা নিশ্চিত হলেও প্রত্যাশায় রয়েছি এশিয়ান গেমসে খেলার। বিওএর মাধ্যমে আমরা চেষ্টা করছি মর্যাদাপূর্ণ ওই আসরে খেলার।’
হতাশা কাটিয়ে পুনরুজ্জীবিত হচ্ছেন বাংলাদেশের উশুকারা। ২০১০ সালে সাউথ এশিয়ান গেমসে দু’টি স্বর্ণ জেতার পর হারিয়েই গিয়েছিল উশু। ২০১৪ সালে ইনচন এশিয়াডে অংশ নেয় দেশের উশু। পরের আসরে বাদ পড়ে। ২০১৯ সালে নেপাল সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসে ৩ রুপা ও ১১টি ব্রোঞ্জ জেতেন উশুকারা। ধীরে ধীরে তাদের পারফরম্যান্সের দ্যুতি ছড়িয়ে পড়ে। গত বছর মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল এশিয়ান ট্র্যাডিশনাল উশু চ্যাম্পিয়নশিপে দুটি রুপা ও ১১টি ব্রোঞ্জ এবং আন্তর্জাতিক উশু ফেডারেশনের থাউলু চ্যাম্পিয়নশিপে দুটি স্বর্ণ, নয়টি রুপা ও ২৩টি ব্রোঞ্জও জেতেন উশুকারা। সেই সঙ্গে বড় গেমসে পদক জয়ের আত্মবিশ্বাস জন্মেছে তাদের মনে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন