স্পোর্টস রিপোর্টার : জেবি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে শুক্রবার মুখোমুখি হয়েছিলো বিগ বাজেটের দুই দল চট্টগ্রাম আবাহনী এবং শেখ রাসেল। জয় পেলেই শীর্ষস্থানটি দখল করতে পারতো বন্দরনগরীর দলটি। কিন্তু তা হলো না। তাদের পয়েন্টে ভাগ বসিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানেই থাকতে বাধ্য করলো অলবøুজরা। শুক্রবার ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভুইয়া স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই দুই দলের ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়। এই ড্রতে ১৪ ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানেই থাকলো চট্টগাম আবাহনী। সমান ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে দশম অবস্থানেই থাকলো শেখ রাসেল।
অসুস্থতার কারণে মাঠে ছিলেন না চট্টগ্রাম আবাহনীর নিয়মিত অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম। অধিনায়কের আর্মব্যন্ডটা তাই শোভা পেলো উইঙ্গার জাহিদ হোসেনের হাতে। গুরুদায়িত্বটা সামলাতে গিয়েই কিনা এদিন জ্বলে উঠতে পারলেন না জাহিদ। বেশ কয়েকটি সুযোগ সৃষ্টি করেছিলেন বটে, তবে আগের ম্যাচগুলোর মতো ঝলক দেখাতে পারলেন না। ১২ মিনিটে সুযোগ এসেছিলো চট্টগ্রাম আবাহনীর। বক্সে জাহিদ হোসেনের কোনাকোনি ভলি অল্পের জন্য মাঠের বাইরে চলে যায়। ২০ মিনিটে মরোক্কোর মিডফিল্ডার তারিক আল জানাবি বল বাড়িয়েছিলেন বক্সে থাকা সতীর্থ হাইতিয়ান ফরোয়ার্ড লিওনেল সেইন্ট প্রিয়াক্সকে। কিন্তু বক্সে রাসেলের দুই ডিফেন্ডারের কঠিন প্রতিরোধের মুখে গোল করার সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেননি প্রিয়াক্স। বল বাইরে পাঠিয়েছেন রাসেলের ডিফেন্ডাররা। ২১ মিনিটে দুই ফুটবলারের মাঝ দিয়ে বল নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন রাসেলের ফরোয়ার্ড রুম্মন হোসেন। শটও নিয়েছিলেন কিন্তু বলে হেড দিয়ে দক্ষতার সঙ্গে ক্লিয়ার করেছেন চট্টগ্রাম আবাহনীর ডিফেন্ডার। এর ঠিক দু’মিনিট পর অরুপ কুমার বৈদ্য বল নিয়ে ঢুকে পড়েন চট্টগ্রাম আবাহনীর পেনাল্টি এরিয়ার খুব কাছে। তাকে আটকাতে গিয়ে অবৈধভাবে বাধা দেন আবাহনীর একজন ডিফেন্ডার। ফ্রি কিক পায় শেখ রাসেল। কিন্তু সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি শেখ রাসেল। ২৫ মিনিটে দারুণ একটা সুযোগ সৃষ্টি করেছিলো চট্টগ্রাম আবাহনী। বক্সের বেশ দূর থেকে জাহিদের দূরপাল্লার ফ্রি কিক ছিলো প্রায় গোল। কিন্তু লাফিয়ে উঠে বল ফিস্ট করে ত্রাণকর্তার ভুমিকায় অবতীর্ন হন অভিজ্ঞ গোলরক্ষক বিপ্লব ভট্টাচার্য। ৩৩ মিনিটে এগিয়ে যাবার সব থেকে সহজ সুযোগটা হাতছাড়া হয়েছে বন্দর নগরীরর দলটির। বক্সে ঢুকে গোলরক্ষককে ডস দিয়ে পেছনে ফেলে এগিয়ে গিয়ে দারুণ শট নিয়েছিলেন সেইন্ট প্রিয়াক্স। বল জালে ঢুকে যাবার মুহূর্তে শুয়ে পড়ে শরীর ঠেকিয়ে দুর্দান্ত সেইভ করেন রাসেলের মিশরীয় ডিফেন্ডার আহমেদ সাইদ হাসান। প্রথমার্ধ গোলশূণ্য থেকেই বিশ্রামে যায় দু’দল।
দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণের বন্যা বইয়ে দিতে থাকে শেখ রাসেল। ৬১ মিনিটে ডিফেন্ডার নাসিরুল ইসলাম নাসিরের রাউন্ড শট ফিরিয়ে দেন আবাহনীর গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানা। ৬৩ মিনিটে মোনায়েম খান রাজু বল নিয়ে আবাহনীর বক্সে ঢুকে শট নেন। জাহিদের গায়ে বল লেগে চলে যায় মাঠের বাইরে। ৬৬ মিনিটে শেখ রাসেলের নতুন সংযোজন হাইতিয়ান মিডফিল্ডার সেবাস্তিয়েনের অসাধারণ দূরপাল্লার কিক প্রায় বক্সে ঢুকে গিয়েও জড়ায়নি জালে। সাইডপোস্টে লেগে বল চলে যায় বাইরে। দুর্ভাগ্যই বলতে হবে শেখ রাসেলের। ৭০ মিনিটে ডান প্রান্ত দিয়ে বল বাড়িয়ে দিয়েছিলেন ডিফেন্ডার নাসির বক্সে ইকাঙ্গা বল পায়ে রাখতে পারেননি। এরপর ফরোয়ার্ড সাখাওয়াত হোসেন রনির কাছে বল গেলে তিনিও ব্যর্থ হন। ৮২ মিনিটে বিপদ জনক জায়গায় ফ্রি কিক পায় শেখ রাসেল। সাখাওয়াত রনির শট প্রতিহত হয় আবাহনীর রক্ষণ দেয়ালে। ফলে ধরা দেয়নি কাংখিত গোল। শেষ পর্যন্ত গোলশূণ্য ড্র করেই মাঠ ছাড়ে উভয় দল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন