আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন অটিজম বিশেষজ্ঞ ও প্রধানমন্ত্রী কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অনারারি শিক্ষক হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তিনি একাধারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক অ্যাডভাইজরি প্যানেলের বিশেষজ্ঞ এবং বাংলাদেশের অটিজম বিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। গতকাল রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক শোভাযাত্রা শেষে আলোচনা সভায় এ তথ্য জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
বিএসএমএমইউ বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও তার সুযোগ্য কন্যা, আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন অটিজম বিশেষজ্ঞ, স্কুল সাইকোলজিস্ট সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুলকে আমাদের এখানে ইনস্টিটিউট অব পেডিয়াট্রিক নিউরোডিজঅর্ডার অ্যান্ড অটিজমে (ইপনা) অনারারি শিক্ষক হিসেবে যোগদানের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এসময় অটিজম আক্রান্ত বিশেষ শিশুদের পুনর্বাসনের জন্য বিগত সময়ের চেয়ে বেশি উদ্যোগ নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি ১০ হাজার শিশুর মাঝে ১৭ জন অটিজমসংক্রান্ত বিশেষ বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন রয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অটিজম নিয়ে শিক্ষা-প্রশিক্ষণ, চিকিৎসা ও গবেষণার সুযোগ রয়েছে। তাই তাদের নিয়ে কেউ দুশ্চিন্তা না করে এখানে চিকিৎসা নিন।
অভিভাবকদের সচেতনতার উদ্দেশে বক্তারা বলেন, শিশুর আচরণ কিংবা চলাফেরায় কোনো ধরনের অস্বাভাবিক লক্ষণ দেখা গেলে দ্রুত বঙ্গবন্ধু মেডিক্যালে নিয়ে আসবেন। এখানে শিশুদের দ্রুত স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা আছে। একই সঙ্গে শিশু যদি অটিজম আক্রান্ত হয় তবে কেউ মন খারাপ করবেন না। একই সঙ্গে স্টিফেন হকিন্সের মতো বিশ্বের বড় বড় প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিদের অনেকেই অটিজম আক্রান্ত বিশেষ শিশু ছিলেন। অটিজম শিশুরা যদি সঠিক পরিচর্চা পায়, তবে তারা অনেক স্বাভাবিক শিশুর থেকেও বেশি সম্ভাবনাময় হয়ে ওঠে।
এতে জানানো হয়, বাংলাদেশে অটিজমের বৈশিষ্ট্য নিয়ে জন্ম নেয়া শিশুর সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি এ বিষয়ে দেশব্যাপী চালানো জরিপে দেখা গেছে, ১৬ থেকে ৩০ মাস বয়সী শিশুদের মধ্যে অটিজমের শিকার প্রতি ১০ হাজারে ১৭ জন।
শোভাযাত্রার পরসংক্ষিপ্ত আলোচনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (শিক্ষা) প্রফেসর ডা. এ কে এম মোশাররফ হোসেন, প্রো-ভিসি (প্রশাসন) প্রফেসর ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমেদ, প্রো-ভিসি (গবেষণা ও উন্নয়ন) প্রফেসর ডা. জাহিদ হোসেন, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. মো. আতিকুর রহমান, শিশু নিউরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ও ইপনার উপপরিচালক প্রফেসর ডা. গোপেন কুমার কুন্ডু, ইপনার উপপরিচালক (অ্যাকাডেমিক) সহযোগী অধ্যাপক ডা. কানিজ ফাতেমা, নিউরোলজিস্ট ডা. মাজহারুল মান্নানসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন