শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

দক্ষিণ সুরমায় মোতাওয়াল্লীকে অপহণ চেষ্টা মামলার মুল হোতা কারাগারে

বিশ্বনাথ (সিলেট) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৭ এপ্রিল, ২০২২, ৩:০৯ পিএম

আব্দুস শহীদ


সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় একটি মসজিদের মোতাওয়ালিকে তাঁর নিজ বাড়ি থেকে অপহরণ চেষ্টা মামলার মুল হোতা শাহ আব্দুর রহীম (র.) মাজারের খাদিম পরিচয় দানকারি আব্দুস শহীদকে কারাগারে পাটিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমলি ৩য় আদালতে হাজিরা দিতে গেলে আদলত জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদি পক্ষের আইনজীবি এ্যাডভোকেট সিদ্দিকুর রহমান সুহেল।
পিবিআই’র তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শাহ ফজলে আজিম পাটোয়ারীর তদন্ত প্রতিবেদন সূত্র মতে, ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী আব্দুস শহীদ। সে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার বেতসুন্দি ফকিরেরগাঁও গ্রামের মৃত সোনাফর আলীর ছেলে আব্দুস শহিদ (৩৬)।
প্রসঙ্গত, ২০২১সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ডিবি পরিচয়ে বেতসুন্দি ফকিরেরগাঁও গ্রামের মোতাওয়ালি নিজাম উদ্দিনকে বাড়ি থেকে অপহরণের চেষ্টা করা হয়। ঘটনার দিন রাতে হত্যার উদ্দেশ্যে তাকে ঘর থেকে বের করে অপহরণকারীদের সঙ্গে থাকা নোহা (সিলেট-ছ-১১-০৫৩৫) গাড়িতে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। এ ঘটনার ৫দিন পর অর্থাৎ (১মার্চ) বাড়ির সিসিটিভির ফুটেজসহ সিলেটের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমলি ৩য় আদালতে অপহরণ চেষ্টা মামলা দায়ের করেন, (সিআর মামলা নং ৪৪/২১ইং)। মামলায় আসামি করা হয় লিটন নামের কথিত এক সাংবাদিককে। আদালত শুনানি শেষে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় সিলেট পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন পিবিআইকে।
পিবিআই’র তদন্ত কর্মকর্তার দীর্ঘ তদন্তে বেরিয়ে আসে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সিলেটের দুই পুলিশ সদস্যও। আর এ ঘটনার মুল পরিকল্পনায় ছিলেন আব্দুস শহীদ। ওই ৪জনকে অভিযুক্ত করে গত ১১ আগস্ট তিনি সিলেট আদালতে চুড়ান্ত অনুসন্ধানী তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
অভিযুক্ত দুই পুলিশ সদস্যের একজন হলেন কনস্টেবল (ভিপি ৮৪০৩০৯২৯৫৭) শরীফ রানা (৩৭)। তার বিরুদ্ধে ২০১৫সালে সিলেট কোতওয়ালি থানায় ছিনতাই রয়েছে। (মামলা মামলা নং-১১)। সে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থানার ব্রম্মণহাতা গ্রামের হেফজুল বারীর ছেলে। অপর পুলিশ কনস্টেবল (ভিপি নং ৯০১১১২৬৩৫৬) হলেন সিরাজুল ইসলাম (৩০)। ঘটনার সময় তিনি সিলেট জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশে কর্মরত ছিলেন। সে সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর থানার কাছিরগাতি গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে। ঘটনার কিছুদিন পর মামলার ১ম আসামি লিটন আতœহত্যা করেছেন। আর বর্তমানে ওই দুই পুলিশ সদস্যের নামে আদালত সমন জারি করা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন