পাম অয়েলের বাড়তি দামের দোহাই দিয়ে বাজারে বেড়েছে সব ধরনের টয়লেট্রিজ পণ্যের দাম। সবচেয়ে বেশী বেড়েছে নানা রকম সুগন্ধি সাবানের দাম। বাড়তির তালিকায় আছে ডিটারজেন্ট পাউডার, হ্যান্ডওয়াশসহ এন্টিসেপ্টিক সামগ্রীর দামও। রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে কাঁচামাল আমদানির খরচ বেড়ে যাওয়াকেই দাম বাড়ার প্রধান কারণ বলছে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।
সাবান কিনতে এসে মূল্যের তালিকা দেখে ভয় পেয়ে যান টিকাটুলি এলাকার এক ক্রেতা। মাঝারি আকারের সাবানের কোনটিতে পাঁচ টাকা, কোনটিতে ১০ টাকা, আবার কোনটিতে বেড়েছে ১৫ টাকা পর্যন্ত। বিক্রেতারা দাবি করছেন, হঠাৎ করে নয়। গেলো প্রায় এক মাসে ধীরে ধীরে এসব পণ্যের দাম বাড়ছে। আর কোম্পানির বেঁধে দেয়া দামেই তাদেরকে বিক্রি করতে হয়।
শুধু সাবান নয় গেলো এক মাসে বেড়ে যাওয়া পণ্যের তালিকার প্রথমেই আছে কাপড় ধোয়ার ডিটারজেন্ট পাউডার। আগে যে পাউডারের দাম ছিল ৯০ টাকা। এখন সেটি ১০৫ টাকা। বেড়েছে সব রকমের হ্যান্ডওয়াশ, অ্যান্টিস্যাপটিক সামগ্রী, টুথপেস্ট আর নারকেলের দাম। ক্রেতারা বলছেন, এসব প্রয়োজনীয় সব পণ্যের দামই বেড়ে গেছে। বিশ্ব বাজারে পাম ওয়েলের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিকে দায়ী করে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে তাদের আমদানি পরিবহন খরচও বেড়েছে। রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ না হলে ভবিষ্যতে এসব পণ্যের দাম আরও বাড়ার কথা বলছেন তারা।
এদিকে বিভিন্ন পণ্যের এমন লাগামছাড়া দাম বাড়ায় সরকারের কিছু করার নেই উল্লেখ করে কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন ক্যাব বলছে, সরকারের উচিৎ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের কোন একটা কৌশল নেয়া। দেশে উৎপাদিত টয়লেট্রিজ সামগ্রীর দাম বেড়ে গেলেও, ভারত ও মালয়েশিয়া থেকে আমদানি করা সাবান ও অন্যান্য সামগ্রীর দাম আছে আগের মতোই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন