খুলনা টাইটান্স : ১৪৪/৯ (২০.০ ওভারে)
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স : ১৩১/৯ (২০.০ ওভারে)
ফল : খুলনা টাইটান্স ১৩ রানে জয়ী।
বিশেষ সংবাদদাতা : টি-২০ বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দু’দুবার বিশ্বকাপ জয়ী তারকা বলেই যতোক্ষন উইকেটে ছিলেন স্যামুয়েলস, ততক্ষন বেঁচে ছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের আশা। শফিউলের বলে ব্যাট-প্যাডের ফাঁক দিয়ে স্যামুলেয়লসের বোল্ড আউটের সঙ্গে সঙ্গে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স সমর্থকরা হয়ে পড়ে নিস্তব্ধ! নিস্তব্ধ না হয়ে উপায় কি বলুন? এক দুই করতে করতে টানা তৃতীয় ম্যাচেও হার। চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স যে দূর্যোগের ঘনঘটা দেখছে এবার!
শেষ স্পেলে ছন্দ ফিরে পাওয়া মাশরাফির (২-০-৪-২) সঙ্গে শেষ স্পেলে ভয়ংকর সোহেল তানভীর (২-০-৫-৩)Ñএই দুই বোলারের বোলিংয়েই খুলনা টাইটান্সকে ১৪৪/৯ এ আটকে রাখতে পেরেছে কুমিল্লা। জবাবটা যেভাবে দেয়ার কথা,শুরুটা সেভাবেই করেছিলেন লিটন-ইমরুল। ইনিংসের প্রথম ওভারে শুভাগতহোমকে ২টি বাউন্ডারি মেরে ৫ম বলে লং অনে ক্যাচ দিয়ে লিটন (৮) দিয়েছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়াকে ধাক্কা। মাহামুদুল্লাহ এবং জুনায়েদকে ছক্কায় ছন্দে ফেরা ইনিংসের সম্ভাবনা দেখিয়ে জুনায়েদকে ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে যেয়ে ইমরুল কায়েস বোল্ড আউট হয়ে (২১) কুমিল্লাকে ফেলেছেন দূর্ভাবনার সাগরে। সেখান থেকে স্যামুয়েলস দলকে টেনে তোলার চেস্টা করেছেন একাই। তবে ৩৪ বলে ৩০ রানের ইনিংসটি মেটাতে পারেনি দলের চাহিদা। বরং শেষ ৩০ বলে ৪৮ রানের বিশাল চ্যালেঞ্জের সামনে কুমিল্লাকে ঠেলে দিয়েছেন স্যামুয়েলসই। ১৭তম ওভারে মাহামুদুল্লাহকে রিভার্স সুইপে সোহেল তানভীরের বাউন্ডারি এবং রশিদ খানের ছক্কায় নড়ে-চড়ে বসার উপলক্ষ্য পেয়েছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। তবে ফর্মে ফেরা শফিউল (২/১৯) এবং ইনফর্ম জুনায়েদের (২/২৪) কাছে শেষ পর্যন্ত আত্মসমর্পন করতে হয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে। পেসারদের লড়াইয়ের এই ম্যাচে খুলনা টাইটান্সের ওপেনার হাসানুজ্জামানের অবদান সর্বোচ্চ ৩৭, ২৮ বলের ওপেনিং পার্টনারশিপে ৪৬ রানও খুলনা টাইটান্সকে দিয়েছে এগিয়ে। ৪র্থ ম্যাচে তৃতীয় জয়ে পয়েন্ট তালিকায় সবার উপরে উঠে গেল খুলনা টাইটান্স। যেখানে আসরে এখন পর্যন্ত একমাত্র জয়হীন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স!
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন