দানিল মেদভেদেভের সময়টা খুব অদ্ভুত কাটছে। জানুয়ারিতে অবিশ্বাস্য এক ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জেতা হয়নি তার। প্রথম দুই সেট জেতার পরও রাফায়েল নাদালের কাছে হেরে গিয়েছিলেন রাশিয়ান টেনিস তারকা। ওভাবে হারের পর স্বপ্নভঙ্গের দুঃখের কথা জানিয়েছিলেন। কদিন পরই অবশ্য অন্য এক স্বপ্নপূরণ হয়েছে, নোভাক জোকোভিচকে টপকে ছেলেদের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে উঠে এসেছিলেন মেদভেদেভ। এরপর চোটে পড়েছেন মেদভেদেভ, র্যাঙ্কিং শ্রেষ্ঠত্বও হারিয়েছেন। এর মধ্যেই বছরের পরবর্তী গ্র্যান্ড সøামগুলোর জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলেন। কিন্তু এর মধ্যেই একটি দুঃসংবাদ পেতে হচ্ছে তাঁকে। আগামী উইম্বলডনে রাশিয়ান ও বেলারুশের সব খেলোয়াড়কে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অল ইংল্যান্ড ক্লাব।
ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার হামলার জেরেই এই সিদ্ধান্ত। রাশিয়ার সঙ্গে এ যুদ্ধে সহযোগীর ভূমিকায় আছে বেলারুশও। তাই উইম্বলডনের আয়োজক কমিটি এ দুই দেশের অ্যাথলেটদের নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফিফা এর আগে রাশিয়া ও রুশ ক্লাবগুলোকে শাস্তি দিলেও টেনিসে এত দিন যুদ্ধের প্রভাব পড়েনি। উইম্বলডনই প্রথম টেনিস টুর্নামেন্ট হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ছেলেদের টেনিসের র্যাঙ্কিংয়ের দ্বিতীয় সেরা তারকা এখন মেদভেদেভ। ওদিকে শীর্ষ দশে রাশিয়ান আরেক খেলোয়াড়ও আছেন, আন্দ্রেই রুবলেভ (৮)। মেয়েদের সাবেক শীর্ষ তারকা ভিক্টোরিয়া আজারেঙ্কাও এই নিষেধাজ্ঞার কারণে উইম্বলডনে থাকতে পারবেন না। অথচ এত দিন এটিপি, ডব্লুটিএ ট্যুরে নির্বিঘ্নে খেলছিলেন তারা। এমনকি আগামী মাসে ফ্রেঞ্চ ওপেনেও নাম লিখিয়েছেন তারা। ছেলেদের টেনিসের শীর্ষ ত্রিশে আরও দুই রাশিয়ান তারকা আছেন। ওদিকে মেয়েদের শীর্ষ বিশেও আছেন দুজন বেলারুশ ও একজন রাশিয়ান তারকা। এঁদের মধ্যে বর্তমানে বিশ্বের চার নম্বর তারকা আরিনা সাবালেঙ্কাও আছেন।
ওদিকে এমন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাখ্যান করেছে ক্রেমলিন। তাদের দাবি, রাশিয়ান টেনিস তারকাকে নিষিদ্ধ করলে টুর্নামেন্টেরই ক্ষতি হবে। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকোচ বলেছেন, ‘যেহেতু রাশিয়া টেনিসে খুব শক্তিশালী, এতে এই প্রতিযোগিতাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। খেলার মানুষদের রাজনৈতিক চক্রান্তে বলি বানানো অগ্রহণযোগ্য। আশা করি, খেলোয়াড়েরা তাঁদের ফিটনেস হারাবেন না।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন