ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড সত্যিই বুঝি মোহামেদ সালাহর প্রিয় প্রতিপক্ষ। ম্যাচ শুরু হতেই গোল করিয়ে ও করে সেটাই যেন প্রমাণ করলেন তিনি। সতীর্থের গোল খরা কাটার দিনে আলো ছড়ালো পুরো লিভারপুল। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে উড়িয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষে উঠে এলো ইয়ুর্গেন ক্লপের দল। অ্যানফিল্ডে গতপরশু রাতে প্রিমিয়ার লিগে ম্যাচজুড়ে আধিপত্য ধরে রেখে ৪-০ গোলে জিতেছে লিভারপুল। সালাহ জোড়া গোল ছাড়া জালের দেখা পেয়েছেন দলটির আক্রমণত্রয়ীর বাকি দুজনও, লুইস দিয়াস ও সাদিও মানে।
এক মাসেরও বেশি সময় ও ৬ ম্যাচ পর জালের দেখা পেলেন তিনি। ক্লাবের হয়ে তার আগের তিনটি গোল ছিল পেনাল্টি থেকে, স্পট কিক বাদে সবশেষ গোল করেছিলেন গত ১৯ মার্চ। একসঙ্গে ‘দুই খরা’ কাটালেন মিশরের এই স্ট্রাইকার। আসরে সর্বোচ্চ গোলদাতার গোল বেড়ে হলো ২২টি। ইউনাইটেডের বিপক্ষে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এই নিয়ে সবশেষ ৬ ম্যাচে ৯ গোল করলেন সালাহ।
লিগে টানা ১০ জয়ের পর আগের রাউন্ডে ম্যানচেস্টার সিটির মাঠে দুবার পিছিয়ে পড়ে ২-২ ড্র করেছিল লিভারপুল। এর ছয় দিন পর গত শনিবার এফএ কাপের সেমি-ফাইনালে তারা পেপ গার্দিওলার দলকেই ৩-২ গোলে হারিয়ে দেয়। এবার এই দারুণ জয়ে লিগে সিটির চেয়ে ২ পয়েন্টে এগিয়ে গেল লিভারপুল। অবশ্য বুধবার ব্রাইটন অ্যান্ড হোভ অ্যালবিওনের বিপক্ষে জিতলেই আবার শিরোপা লড়াইয়ের লাগাম হাতে নেবে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। আর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের আগোমী আসরে ম্যানইউর খেলার সম্ভাবনাও আরও মিইয়ে গেল।
মৌসুমে দুইবারের দেখাতেই ইউনাইটেডের জালে গোল উৎসব করল লিভারপুল। গত অক্টোবরে আসরে প্রথম পর্বে সালাহর হ্যাটট্রিকে ৫-০ গোলে জিতেছিল ‘অল রেড’ নামে পরিচিত দলটি। এই নিয়ে লিগে সবশেষ আট দেখায় অপরাজিত রইলো তারা, পাঁচ জয় ও তিন ড্র। শীর্ষে ওঠা লিভারপুলের ৩২ ম্যাচে ২৩ জয় ও সাত ড্রয়ে পয়েন্ট হলো ৭৬। এক ম্যাচ কম খেলা সিটির পয়েন্ট ৭৪। ৩০ ম্যাচে ৬২ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে চেলসি। ৩২ ম্যাচে ৫৭ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে টটেনহ্যাম। ৩১ ম্যাচ খেলা আর্সেনালের সমান ৫৪ পয়েন্ট ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের। কিন্তু গোল ব্যবধানে পিছিয়ে ষষ্ঠ স্থানে নেমে গেছে ৩৩ ম্যাচ খেলা রালফ রাংনিকের দল।
একই রাতে মিলানের দুই দলের লড়াইয়ে চমৎকার ফিনিশিংয়ে ব্যবধান গড়ে দিলেন লাউতারো মার্তিনেস। প্রথমার্ধেই দুই গোল করে চালকের আসনে বসালেন দলকে। সেখান থেকে আর ম্যাচ ফিরতে পারেনি এসি মিলান। অনায়াসে জিতে ইতালিয়ান কাপের ফাইনালে জায়গা করে নিল ইন্টার মিলান। সান সিরোয় সেমি-ফাইনালের ফিরতি লেগে ৩-০ গোলে জিতেছে সিমোনে ইনজাগির দল। বদলি নামার মিনিট তিনেক পর দলের তৃতীয় গোলটি করেন রবিন গোসেন্স। গত মার্চে দুই দলের প্রথম লেগের ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়েছিল।
প্রতিযোগিতার পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন এসি মিলান সবশেষ এর ফাইনাল খেলেছিল ২০১৮ সালে। সবশেষ শিরোপা স্বাদ পেয়েছিল আরও আগে, ২০০৩ সালে। আরেকটি ব্যর্থতায় প্রতীক্ষা আরও বাড়ল তাদের। ইতালিয়ান কাপের ৭ শিরোপার সবশেষটি ইন্টার জেতে ২০১১ সালে। সেবারই সবশেষ ফাইনালে খেলে তারা। সিরি ‘আ’য় পয়েন্ট টেবিলে এবার আধিপত্য করছে মিলানের এই দুই দল। ৩৩ ম্যাচে ৭১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে এসি মিলান। এক ম্যাচ কম খেলা ইন্টার ৬৯ পয়েন্ট নিয়ে আছে ঠিক পেছনেই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন