শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ব্যবসা বাণিজ্য

রোজার শেষার্ধেও কমেনি দাম

ঈদের আগে সব পণ্যের দামই বেড়েছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৩ এপ্রিল, ২০২২, ১২:০৪ এএম

রোজার শুরুতেই কাঁচাবাজারের দাম বেড়েছিল সবজি ও গোশতের। ২০ রোজায় এসেও কমেনি দাম। কেজিতে ১০-২০ টাকা বেড়েছে বেশিরভাগ সবজির দাম। ব্রয়লারের দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকা। ঈদের আগে চাহিদা বাড়ায় রাজধানীর বাজারে বেড়েছে খোলা পোলাওয়ের চালের দাম। চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে চাল ও অন্যান্য নিত্যপণ্য। বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে খাসি ও গরুর গোশত। অবশ্য স্বাভাবিক রয়েছে মাছের দাম। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর কচুক্ষেত, মিরপুর-৬, মিরপুর-১১ নম্বর বাজার, মিরপুর কালশী বাজার ও পল্লবী এলাকার বাজার ঘুরে এমন চিত্র উঠে এসেছে।
রাজধানীতে প্রায় সব ধরনের চাল বিক্রি হচ্ছে চড়া দামেই। নাজিরশাইল মানভেদে ৬৫ থেকে ৭০, মিনিকেট ৬০ থেকে ৬৫ আর বিআর আটাশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৬ থেকে ৪৮ টাকা কেজি। ঈদের চাহিদায় বেড়েছে খোলা চিনিগুড়া চালের দাম। বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ১০৫/১১০ টাকা কেজি।
এছাড়া হুট করে অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে গাজরের দাম। একলাফে গাজরের দাম বেড়ে তিনগুণ হয়ে গেছে। অবশ্য গাজরের দাম বাড়লেও কিছুটা কমেছে বেগুন, শসা ও সজনে ডাটার দাম। সেইসঙ্গে মাছের দামেও খুব একটা পরিবর্তন আসেনি। হুট করে গাজরের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এখন গাজরের মৌসুম না। বাজারে চাহিদার তুলনায় গাজরের সরবরাহ কম। এ কারণে দাম বেড়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে আরও বাড়তে পারে।
রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা গাজরের কেজি বিক্রি করছেন ৬০ থেকে ৭০ টাকা। এক সপ্তাহ আগে গাজরের কেজি ছিল ২০ থেকে ৩০ টাকা। গাজরের এ দাম বাড়ার বিষয়ে মিরপুর-১১ নম্বর বাজারের ব্যবসায়ী মো. আব্দুল হালিম বলেন, গাজরের মৌসুম শেষ হয়ে গেছে। সুতরাং এখন দাম বাড়বে এটাই স্বাভাবিক। কয়েকদিনের মধ্যে আরও বাড়বে। তখন একশো টাকা কেজি কিনে খেতে হবে।
অন্যদিকে, রোজার শুরুতে অস্বাভাবিকভাবে বাড়া বেগুনের দাম কিছুটা কমেছে। ব্যবসায়ীরা বেগুনের কেজি বিক্রি করছেন ৫০ থেকে ৭০ টাকা। এক সপ্তাহ আগে বেগুনের কেজি ছিল ৮০ থেকে ১০০ টাকা। বেগুনের মতো দাম কমেছে শসার। রোজার উত্তাপে কেজি ৮০ টাকায় উঠে যাওয়া শসা এখন বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়। এক সপ্তাহ আগে শসার কেজি ছিল ৩০ থেকে ৪০ টাকা।
বেগুন ও শসার এ দাম কমার বিষয়ে কচুক্ষেতের ব্যবসায়ী হুমায়ুন বলেন, রোজা শেষ হয়ে যাচ্ছে। ফলে বেগুন শসার চাহিদা কমছে। এছাড়া ক্ষেতে বেশি দিন শসা রাখা যায় না। এ কারণে দাম কমছে।
বেগুন ও শসার দাম কমলেও অপরিবর্তিত রয়েছে অন্যান্য সবজি। পটলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বরবটি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ থেকে ৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। লাউয়ের পিস বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। লাল ও পালং শাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকায়।
সজনে ডাটা গত সপ্তাহের মতো ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। পেঁপের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। কাঁচ কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। করলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা। এ সবজিগুলোর দাম সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে।
মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে মাছের দামে তেমন পরিবর্তন আসেনি। রুইয়ের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা। এক কেজি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৩০০ থেকে ১৬০০ টাকা। তেলাপিয়া, পাঙ্গাস মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা। শিং মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৬০ টাকা। শোল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা।
কমেছে ডিমের দাম। লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা। হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকায়। দেশি মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা।
মাছ ও ডিমের দামে লাগাম থাকলেও মুরগির বাজারে স্বস্তি নেই। ব্যবসায়ীরা ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ১৭৫ টাকায়। সোনালী মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা। আর গরুর গোশত ৬৮০ থেকে ৭০০ টাকায় কেজি বিক্রি হচ্ছে। বাজারে খাসি বিক্রি হচ্ছে ৯৫০ টাকায়। তবে ঈদের আগে দাম আরও বাড়বে এমন আভাস দেন বিক্রেতারা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন