শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

নেতৃত্ব পেয়েই জিমি-ব্রডকে ফেরাচ্ছেন স্টোকস

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩০ এপ্রিল, ২০২২, ১২:০১ এএম

ইংলিশ ক্রিকেটে এখন নতুনের আবাহন। তবে নতুন নেতৃত্ব ভরসা রাখছে পুরনো দুই পরীক্ষিত সৈনিকের ওপর। ইংল্যান্ড দল পেয়েছে নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও অধিনায়ক। জেমস অ্যান্ডারসন ও স্টুয়ার্ট ব্রডের সামনেও নতুন আশার আলো। অধিনায়কত্ব পেয়েই বেন স্টোকসের প্রথম দাবিগুলোর একটি, অভিজ্ঞ এই দুই পেসারকে তিনি ফেরাতে চান টেস্ট দলে। নতুন অধিনায়কের সঙ্গে একমত হয়েছেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক রবার্ট কি।
গত অ্যাশেজে ইংল্যান্ডের ব্যর্থতার পর দলে ব্রত্য হয়ে পড়েছিলেন অ্যান্ডারসন ও ব্রড। যদিও দলের চরম হতাশার সফরে দুই পেসারের পারফরম্যান্স খারাপ ছিল না। ৩ টেস্টে ১৩ উইকেট ছিল ব্রডের, ৩ টেস্টে ৮টি অ্যান্ডারসনের। বোলিংয়ের কার্যকারিতায় দলের অন্য পেসারদের চেয়ে মোটেও পিছিয়ে ছিলেন না তারা। তবে টেস্ট ইতিহাসের সফলতম পেসার (৬৪০ উইকেট) অ্যান্ডারসন ও ৫৩৭ টেস্ট উইকেট শিকারি ব্রডকে বাদ দেওয়া হয় মূলত বয়সের কারণে।
অ্যাশেজের পর দল পুনর্গঠনের কথা বলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে রাখা হয়নি ৩৯ বছর বয়সী অ্যান্ডারসন ও ৩৫ বছর বয়সী ব্রডকে। তবে সেই পুনর্গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন ওঠে অনেক। সফল দুই পেসারকে বাদ রাখায় সমালোচনাও হয় তীব্র। অ্যান্ডারসন ও ব্রড, দুজনই প্রশ্ন তোলেন বাদ দেওয়ার প্রক্রিয়া ও যোগাযোগের ঘাটতি নিয়ে। এরপর গত কিছুদিনে বেশ পালাবদল হয়ে যায় ইংলিশ ক্রিকেটে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে ফেরার পর টেস্ট নেতৃত্ব ছেড়ে দেন তুমুল সমালোচনার মধ্যে থাকা জো রুট। ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পান রবার্ট কি। টেস্ট নেতৃত্ব দেওয়া হয় স্টোকসকে।
দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম সংবাদ সম্মেলনে লর্ডসে বৃহস্পতিবার রবাট কি ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন, অভিজ্ঞ দুই পেসার ফিরছেন, ‘এই দায়িত্বে আমার নাম (আনুষ্ঠানিকভাবে) ঘোষণার আগেই আমি জিমি ও ব্রডিকে ফোন করে বলেছি, ‘এই গ্রীষ্মের প্রথম টেস্টের দল নির্বাচনে তোমাদের নাম বিবেচিত হবে। তবে আমি তো ব্যবস্থাপনা পরিচালক। ওরা জানতে চেয়েছিল, অধিনায়কের ভাবনাও একইরকম কিনা। বেন স্টোকস প্রথম যে কথাগুলি বলেছে (নেতৃত্ব পাওয়ার পর), এর মধ্যে ছিল, “জিমি ও ব্রডি দলে ফিরে আসছে” এবং আমি তাতে সায় দিয়েছি।’
অ্যান্ডারসন ও ব্রড এখন ব্যস্ত কাউন্টি ক্রিকেটে। দলে ফিরতে হলে কী করতে হবে, তা তাদের জানা বলেই মনে করেন কি, ‘ওদের নিজেদের পরিকল্পনা আছে। জিমি ও ব্রডির মতো দুজনকে আমাদের বলে দিতে হবে না যে, টেস্ট ম্যাচের জন্য প্রস্তুত হতে কী করতে হবে। ওরা না জানলে এটা আর কেউই জানে না। প্রথম টেস্টের জন্যই ওদেরকে তৈরি থাকতে হবে। ওদের না পারার কোনো কারণ আমি দেখি না এবং অবশ্যই এখনও অনেক বড় ভুমিকা রাখতে পারে ওরা।’
ইংল্যান্ডের মৌসুম শুরু হবে আগামী ২ জুন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে লর্ডস টেস্ট দিয়ে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন