দিনাজপুরের পার্বতীপুরে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিকদের আন্দোলনের মুখে উত্তোলন বন্ধ হয়ে গেছে। বেকার শ্রমিকরা কর্মস্থলে যোগদান ও বকেয়া বেতন এবং কয়লা উত্তোলন কাজে নিয়োজিত খনির কম্পাউন্ডের ভিতরে দীর্ঘদিন ধরে অবরুদ্ধ শ্রমিকরা বাড়ি থেকে যাতায়াতের দাবিতে ভিতরে ও বাহিরে যুগপদ আন্দোলন শুরু করায় খনির উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এদিকে, মানবিক দিক বিবেচনা করে আন্দোলনরত কর্মহীন শ্রমিকদের প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে।
কর্মহীন শ্রমিকরা স্ত্রী সন্তান নিয়ে খনি এলাকায় প্রতিদিন দুপুর ১২ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত অবস্থান করে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অব্যাহত রেখেছে। পাশাপাশি কয়লা উত্তোলন কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরাও খনির ভিতরে আন্দোলন শুরু করেছে। শ্রমিকরা দাবি পূরণের জন্য গত ২৪ এপ্রিল স্মারকলিপির মাধ্যমে ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেয়। এ সময়ের মধ্যে দাবি পুরণ না হওয়া তারা গত বুধবার থেকে যুগপদ আন্দোলনে যায়। বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি রবিউল ইসলাম জানান- এখন পর্যন্ত খনি কর্তৃপক্ষ তাদের সাথে কোন আলোচনায় বসেনি।
বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিএমসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো: কামরুজ্জামান জানান, কয়লা উত্তোলন কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা কাজ আন্দোলন শুরু করায় গত বুধবার থেকে কয়লা উত্তোলন বন্ধ রয়েছে। তবে বর্তমান উৎপাদনশীল ১৩১০ নম্বর কোলফেইজের মজুদও সপ্তাহখানের মধ্যেই শেষ হয়ে কয়লা উত্তোলন এমনিতেই বন্ধ হতো। তিনি আরও জানান- নতুন ১৩০৬ নম্বর ফেউজ থেকে কয়লা উত্তোলন করা হবে। ১৩১০ নম্বর ফেইজ থেকে যন্ত্রপাতি সরিয়ে ১৩০৬ নম্বর ফেইজে স্থাপন করে কয়লা উত্তোলনে যেতে অন্তত সাড়ে তিন মাস সময় লাগবে। বর্তমানে খনি ইয়ার্ডে ২ লাখ টনের বেশী কয়লা মজুদ রয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে এমডি জানান- পুনরায় উৎপাদন শুরু হলে পর্যায়ক্রমে সকল শ্রমিককে কাজে যোগদান করাবে বলে এক্সএমসি-সিএমসি রাজি হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন