তোমার চোখের শহরে
মিশকাত উজ্জ্বল
একটা রাত খোলা ভোরের দোকান দেবো
তার ভেতরে থরে থরে সাজানো থাকবে—
হরেক পাখির গ্রাম...
কাচের বৈয়ম-ভর্তি অযুত আলোর জোনাক
রেফ্রিজারেটরে অথৈ নীলিম, বিষণ্ণ ডুবোচর
তহবিল-বাক্সে সমুদ্রতট—বিস্তীর্ণ বালিয়াড়ি।
ঠোঁটের প্রপাত গড়িয়ে এভারেস্ট-শৃঙ্গ—
তাকে ঘিরে ব্যস্ত রবো গোধূলি-অপরাহ্ন।
সন্ধ্যাটা তুমুল কাটাবো—তোমার চোখের শহরে
রাত হলে নির্ঘুম মনের বনে জোয়ার আসে যদি
তৎপর শিখে নেবো যুথবদ্ধ সাঁতারের ব্যাকরণ।
আত্ম উপলব্ধি বোধ
মাসুদ চয়ন
এখানে ধানের ছড়া নেই;
পাকা ধানের সোনালি রঙা আভার মতো জৌলুস ছড়িয়ে
উজ্জ্বল বিলবোর্ড হতে ক্ষয়িষ্ণু আলোক বর্ষা চোখে ধেয়ে আসে-
নীরবে চোখ জোড়া ক্ষয়ে যায় কৃত্রিমতার দাহ্য ব্যথায়;
অথচ ধানের ছড়ার পাশে নিবিড় আয়েশে ঘুমিয়ে আছে শৌখিন শৈশব;
কি করে পারি সেইসব সযতেœর দিনলিপি আঁড়াল অনুধ্যানে লীন করে
কৃত্রিম প্রকৌশলের বস্তাবন্দি জলে ধ্বস্তাধস্তি করে বেঁচে থাকতেথ
বুকের গহীন জমিনে নির্ভরতার আশ্বাস কেউ হতে এলোনা;
আজ খুঁজে পাইনা আত্মাগত স্ফূর্তিথ
সেই হলুদ প্রাধান্য লেপ্টা সবুজাভ আলের কথা খুব মনে পড়ে-
হেমন্তের নিঝুম গন্ধের ডাক আজকাল অবশ্যকতার নিয়ন্ত্রিত চৈতন্য ভেঙে ফুলে ফেঁপে ওঠেনা-
একেকটি প্রান্তর অতিবাহিত হয়ে যায় ধানের ছড়ার গল্পে গন্ধে-
একেকটি সবুজবীথিকার স্টেশনে কৃষক শ্রমিক ভাড় থুয়ে জিড়িয়ে নেয়;
একেকটি অনিন্দ্য অনিশ্চিত বিকেল খুঁজে ফেড়ে বেখেয়ালি হৈ হুল্লোড় বাদ্যপনা;
কত স্বাভাবিক জীবন গন্তব্য সাজায় এরা ওরা পুর্নগর্ভ নদীদের বালুঘেঁষা উপক‚লে-
কবিতার বিস্ময় শিল্পের মতো মাধুর্য খুঁজে আনে গোধূলীমা-
কাদা পানির প্রনয় দীপ্তি কি মনোরম!
আলো আর আঁধার যেনো একে অপরের পরিপূরক আত্মজা-
দিশাহীন বোধ নিয়ে কথা চলছে অচেনা আঁধারের সাথে;
পথে পথে মৃতপ্রায় নন্দন চিত্রবিদ বিক্রেতা;
নকল;সবি নকল!
এই শহরে চলছে নকলের কারসাজি;
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন