এই বছর ফেব্রুয়ারিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে নতুন মেয়াদে বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব নিয়েছিলেন জেমি সিডন্স। সেখানে বাংলাদেশের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলের ব্যাটসম্যানদের কাছে থেকে দেখেছেন এই অস্ট্রেলীয় কোচ। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে প্রথমবারের মতো টেস্ট দলের ব্যাটসম্যানদের নিয়ে কাজ করার সুযোগ হয়েছে তার। এই দুটি সিরিজে বাংলাদেশ দলের ব্যাটসম্যানদের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতের কর্মপদ্ধতি ঠিক করতে চান সিডন্স।
ওয়ানডেতে বাংলাদেশ দলের সাফল্য তাঁকে আশাবাদী করছে, পাশাপাশি টেস্টের ব্যাটিং সিডন্সকে ভাবাচ্ছে। আপাতত বাংলাদেশের এই ব্যাটিং কোচের লক্ষ্য, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আসনড়ব দুই টেস্ট সিরিজে কিছু জায়গায় উনড়বতি আনা। সিডন্স বলেছেন, ‘টেস্টে আমাদের লম্বা সময় ব্যাটিং করা শিখতে হবে। ওয়ানডে ক্রিকেট ভালো যাচ্ছে। কিন্তু টেস্টে আমাদের উনড়বতি করতে হবে।’ উনড়বতির জায়গাগুলো কোথায়, সেটাও জানালেন সিডন্স, ‘আমরা দ্রুত উইকেট হারিয়ে ফেলি। জোড়ায় জোড়ায় উইকেট পড়ে। কখনো কখনো মুহূর্তের মধ্যে ৩-৪ উইকেটও হারিয়ে ফেলি। এটা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। ছেলেদের লম্বা সময় ব্যাটিং করার দিকে মনোযোগী হতে হবে।’
দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের উদাহরণ টেনেই সিডন্স বলছিলেন, ‘সেখানে আমরা ৩০-৪০-৫০ করে আউট হয়েছি। সেগুলোকে আরও বড় ইনিংসে পরিণত করতে পারিনি। সেঞ্চুরি করতে হবে, বড় সেঞ্চুরি। টেস্ট জিততে হলে আমাদের এটা করতেই হবে।’ ব্যাটসম্যানরা বড় ইনিংস খেলতে পারলে দলও পাবে বড় স্কোর। তাহলেই সম্ভব প্রতিপক্ষকে চাপে রাখা। সিডন্সের কথা, ‘আমরা ৩০০-৩৫০ রান করছি। সেটাকে ৪০০-৪৫০ রানে নিয়ে যেতে হবে। তাহলেই প্রতিপক্ষ চাপে থাকবে।’
১৫ মে শুরু শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজকে সামনে রেখে এখন মাঠে নামার অপেক্ষায় ক্রিকেটাররা। ৮ মে ঢাকায় পা রাখবে দিমুথ করুনারতেড়বর দল। বাংলাদেশ দল সেদিনই যাবে প্রথম টেস্টের ভেন্যু চট্টগ্রামে। ৯ মে শুরু হবে অনুশীলন। ঈদের ছুটি শেষে আজকের মধ্যেই টেস্ট দলের ক্রিকেটারদের ঢাকায় চলে আসার কথা। সিডন্স অবশ্য এর মধ্যেই ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন। প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোসহ কোচিং স্টাফের বাকি সদস্যদের আসার কথা আজ সন্ধ্যার মধ্যে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন