শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

হামলার পর পর্যটকদের ভিড় কমেছে জাফলংয়ে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৭ মে, ২০২২, ১২:০০ এএম

প্রকৃতিকন্যা খ্যাত সিলেটের জাফলংয়ে হামলার ঘটনায় পর্যটকদের উপস্থিতি কমে গেছে। গতকাল মাত্র হাজারখানেক পর্যটককে জাফলংয়ে আনন্দ-উচ্ছ্বাস করতে দেখা গেছে। বিগত তিনদিন জাফলংয়ে পর্যটকদের উপস্থিতি ছিল গতকালকের তুলনায় প্রায় ৫০ গুণ বেশি। জাফলং পর্যটনকেন্দ্রে টিকিট (প্রবেশ ফি) কাটাকে কেন্দ্র করে গত বৃহস্পতিবার অতর্কিত হামলার শিকার হন ঢাকার কয়েকজন পর্যটক। ঘটনার পরপরই কঠোর পদক্ষেপ নেয় জেলা ও পুলিশ প্রশাসন। হামলাকারী পাঁচজন স্বেচ্ছাসেবককে আটক করা হয়। তারপরও এ ঘটনায় পর্যটক উপস্থিতিতে প্রভাব পড়েছে জাফলংয়ে। তবে সিলেট জেলার অন্য সব পর্যটনকেন্দ্রে ভিড় দেখা গেছে। গতকাল ছুটির দিন হওয়ায় ঈদের আমেজ এখনো কাটেনি।
ভোলাগঞ্জের সাদাপাথর আর বিছনাকান্দিতে পর্যটকদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। গোয়াইনঘাটের জাফলং থেকে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের সবুজ পাহাড় আর পাহাড় থেকে নেমে আসা ঝরনা ধারা সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট করে পর্যটকদের। এছাড়া বিছনাকান্দি, জৈন্তাপুরের সারি নদী, কোম্পানিগঞ্জের সাদাপাথর, উৎমাছড়া এবং মিঠাপানির একমাত্র জলারবন রাতারগুলের সবুজের সমারোহে পর্যটকদের ভিড় থাকে সবসময়ই।
ভৈরব থেকে সিলেটে ঘুরতে আসা এক পর্যটক জানান, ‘যতবার সিলেট ঘুরতে আসি ততবারই জাফলং ঘুরতে আসি। আজও এলাম। তবে শুনেছি গত বৃহস্পতিবার এখানে কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। তবে এখন আর সেই পরিবেশ নেই। ট্যুরিস্ট পুলিশের উপস্থিতি আছে। তারা পর্যটকদের আনন্দ-বিনোদনে সহায়ক ভূমিকা রাখছেন। এতে আমারা খুশি।’
ঢাকার সাভার থেকে জাফলংয়ে ঘুরতে আসা ব্যবসায়ী রাজিব দাস বলেন, ‘সিলেটে ঘুরতে আসবো আসবো করে বিগত দুটি বছর করোনার সংক্রমণের কারণে আর আসা হয়নি। এবার স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে এসে অনেক ভালো লাগছে।’ তিনি বলেন, ‘সিলেটের পর্যটনকেন্দ্রগুলো দেশের অন্য পর্যটন এলাকাগুলো থেকে একটু আলাদা। তাই এখানে ঘুরতে এলে ভালোই লাগে।’
ট্যুরিস্ট পুলিশ জাফলং জোনের ওসি রতন শেখ বলেন, ‘জাফলংয়ে পর্যটকদের সংখ্যা এ বছর বেড়েছে। গতকাল পর্যটক ঘুরতে এসেছেন। পর্যটকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা করতে ট্যুরিস্ট পুলিশ আন্তরিকভাবে কাজ করছে।’
এদিকে, গত বৃহস্পতিবার পর্যটকদের ওপর হামলার ঘটনায় আটক পাঁচজনকে গ্রেফতার দেখিয়ে গতকাল বিকেলে সিলেটের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এদিকে পর্যটকদের ওপর অতর্কিত হামলার পর ঈদ উপলক্ষে আগামী সাতদিন প্রবেশ ফি নেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে এ নির্দেশনা কার্যকর করা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন