শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শিক্ষাঙ্গন

প্রকৃতিকন্যা জাফলংয়ে শিক্ষার্থীরা

প্রকাশের সময় : ১৮ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

শিক্ষাসফরে যেতে হবে’ এমন সংবাদ শুনে আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে অনেকেই শুরু করে মানসিক প্রস্তুতি! নির্ধারিত তারিখে যারা যাবে তারাই আগে থেকেই নাম নিবন্ধন করে রেখেছিল বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে। অপেক্ষার পালা শেষ হয়ে আসে শিক্ষাসফরে যাওয়ার দিন। গত ১৮ মার্চ ২০১৬ খ্রিস্টাব্দের শুক্রবার সকাল থেকেই পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে চলে আনন্দ-উল্লাস। সকলের একটাই চাওয়া-পাওয়া; প্রকৃতিকন্যা ‘জাফলং’ দর্শন। সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার চরনারচর ইউনিয়নের ব্রজেন্দ্রগঞ্জ আরসি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা, পরিচালনা কমিটির সদস্য, ছাত্রছাত্রী ও সাংবাদিকসহ প্রায় ৭০ জনের একটি দল এই শিক্ষাসফরে যান।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আশরাফ উদ্দিনের নেতৃত্বে শিক্ষাসফরে ছিলেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি অনিরুদ্ধ বনিক, দিরাই উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. গোলাপ মিয়া, কমিটির অভিভাবক সদস্য মো. আবুল মিয়া, দৈনিক ইনকিলাব দিরাই উপজেলা সংবাদদাতা মুহাম্মদ আব্দুল বাছির সরদার ও মাওলানা সুজাত আহমদ প্রমুখ। এ সফরে বিদ্যালয়ের ২৩ জন ছাত্র ও ২০ জন ছাত্রী ছিল।
বিদ্যালয়ের প্রবীণ কয়েকজন শিক্ষক জানান, এই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত কখনও কেউ এই উদ্যোগ নেয়নি; যার ফলে আমাদের কোথাও শিক্ষা সফরের নামে যাওয়া হয়নি। তবে বর্তমান প্রধান শিক্ষক যে মহতি উদ্যোগ নিয়েছেন, এটি একটি ইতিহাস হয়ে থাকবে বলেও তারা মন্তব্য করেন। আর এর দ্বারা শুধু ছাত্রছাত্রীই নয়; বরং আমাদেরও অনেক না জানা বিষয় জানা হলো। বিশেষ করে অনেক প্রবীণ শিক্ষক প্রকৃতিকন্যা জাফলং দেখেননি, তাদের একটি বিরাট অভিজ্ঞতা অর্জিত হলো। বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ৪৩ জন ছাত্রছাত্রী আনন্দে আত্মহারা এই জন্যে যে, তারা কখনও ভাবতে পারেনি জাফলং যেতে পারবে। কারণ, একটি প্রত্যন্ত ও মফস্বল এলাকার বিদ্যালয় হওয়াতে অনেক বিষয়ই তাদের জানা ও দেখা হয় না। ফলে তারা বিজ্ঞানের উৎকর্ষতার যুগে বাস করলেও জ্ঞানের রাজ্যে তারা অনেক পিছিয়ে। এই শিক্ষা সফর কম সময়ের জন্য হলেও এখান থেকে অনেক শিক্ষণীয় বিষয় অর্জন সম্ভব হয়েছে বলে বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী এ প্রতিবেদককে জানায়। এক্ষেত্রে মফস্বল এলাকায় থেকেও ব্রজেন্দ্রগঞ্জ আরসি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আশরাফ উদ্দিন যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন, তা সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্যরা, এজন্য তারা প্রধান শিক্ষককে আন্তরিক অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি আরো ভালো মানের জায়গা পরিদর্শনের জন্যও অনুরোধ করেন, যাতে একজন শিক্ষার্থী লেখাপড়ার পাশাপাশি দেশ ও পরিবেশ সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে পারে।
ষ মুহাম্মদ আব্দুল বাছির সরদার

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন