বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বলিষ্ঠ নেতৃত্ব আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। বর্তমানে তাঁর কন্যার কুশলী নেতৃত্বে জাতি এগিয়ে যাচ্ছে, দেশ আজ উন্নয়নের এক বিষ্ময়কর অগ্রযাত্রায় ধাবিত হচ্ছে। এ কারণে শেখ হাসিনার প্রতি সবাইকে আস্থা রাখতে হবে। কিন্তু স্বাধীনতার বিরোধী অপশক্তি যে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে তাতে মোটেও বিভ্রান্ত হওয়া যাবে না।
শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত স্মৃতিচারণমূলক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার।
ভিসি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর সহযোগীদের মতো ক্ষণজন্মা মনিষীরা ক্ষণিকের জন্য পৃথিবীতে এসে প্রভা ছড়িয়ে গেছেন। তাঁদের আলোয় আমরা আলোকিত হচ্ছি। স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এসব নেতা মুক্তিযুদ্ধ সংগঠনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। বিভিন্নভাবে পরিবেশ, পরিস্থিতির বিশ্লেষণে তিনি প্রত্যুৎপন্নমতিত্বের সাথে বাঙালির স্বাধীনতার স্পৃহাকে মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের পথে ধাবিত করেছিলেন। যেসব মানুষ মুক্তিযুদ্ধে আত্মহুতি দিয়েছেন তাঁদের ত্যাগ ও আদর্শের কথা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য তিনি সবার প্রতি আহŸান জানান।
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক বলেন, পাকিস্তান শাসনামলে এদেশে প্রগতিশীল সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চা ও বিকাশে খড়গময় পরিস্থিতি বিরাজমান ছিল। সরকারের ভ‚মিকা এক্ষেত্রে ছিল অত্যন্ত দমন-পীড়নমূলক। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ শুধু ভূখন্ড বা জাতিসত্বার স্বাধীনতার জন্য ছিল না। তাতে সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির স্পৃহা অন্যতম চালিকাশক্তি ছিল। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ বিশ্বের নানাপ্রান্তে অভ‚তপূর্ব সাড়া জাগিয়েছিলো।
আলোচনা শেষে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের শুভেচ্ছা ও সম্মাননা স্মারক ক্রেস্ট উপহার দেওয়া হয়।
প্রো-ভিসি অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবীরের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. অবায়দুর রহমান প্রামানিক, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. আব্দুস সালাম, প্রক্টর অধ্যাপক মো. আসাবুল হক, ছাত্র উপদেষ্টা এম. তারেক নূর, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাÐেসহ অনুষদ অধিকর্তা, হল প্রাধ্যক্ষ, ইনস্টিটিউট পরিচালক ও বিশিষ্ট শিক্ষকবৃন্দ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন