বাংলাদেশ এখন সব ধরনের কার্গো জাহাজ তৈরি করতে সক্ষম। সরকারের সহযোগিতা পেলে জাহাজ নির্মাণে বড় সফলতা অর্জন করা সম্ভব হবে। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) পাঁচ দিনব্যাপী নেইম ফেস্টের সমাপনী অনুষ্ঠানে আজ বুধবার এসব কথা বলেন জাহাজ নির্মাণ খাতের সংশ্লিষ্টরা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে
উপস্থিত ছিলেন আনন্দ শিপইয়ার্ড ও স্লিপওয়েজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফরুজা বারী, নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা ড. মীর তারেক আলী, নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান ড. শহীদুল ইসলাম প্রমুখ। আনন্দ গ্রুপের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, নেইম ফেস্ট হচ্ছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের নৌযান এবং নৌযন্ত্র কৌশল বিভাগের বার্ষিক আয়োজন। এর মূল লক্ষ্য হচ্ছে বিভিন্ন জব ইন্ডাস্ট্রি এবং অ্যালামনাইদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিযোগিতা ও ওয়ার্কশপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা ও দক্ষতার উন্নয়ন নিশ্চিত করা। এ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন সাবেক ও বর্তমান শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আফরুজা বারী বলেন, জাহাজ শিল্পে বাংলাদেশ অনেক এগিয়েছে। সব ধরনের কার্গো জাহাজ তৈরি করতে সক্ষম জাহাজ শিল্পের উদ্যোক্তারা। বিদেশ থেকে মালামাল আমদানি করতে আমাদের তৈরি জাহাজে পরিবহন করতে পারবো। এ খাতে সরকারের সহযোগিতা পেলে জাহাজ নির্মাণে বড় ধরনের সফলতা অর্জন করা যাবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ড. মীর তারেক আলী বলেন, উদ্যোক্তারা অত্যাধুনিক জাহাজ নির্মাণ করছে। জাহাজ রপ্তানিও হচ্ছে। এখন লক্ষ্য হওয়া দরকার এ শিল্পকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার।
গত শনিবার শুরু হয়ে আজ বুধবার শেষ হয়েছে নেইম ফেস্ট। এ পাঁচদিন বিভিন্ন জব সেমিনার, র্যালি, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
এই অনুষ্ঠানে স্পন্সর করেছে আনন্দ শিপইয়ার্ড অ্যান্ড স্লিপওয়েজ, সামিট গ্রুপ, ডকইয়ার্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, সিংগুলারিটি, ভিস্কো লজিস্টিকস বাংলাদেশসহ এ খাতের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন