বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন ন‚র পরশের লাশ উদ্ধারের ৯ দিন অতিবাহিত হলেও গতকাল পর্যন্ত তার হত্যার মোটিভ উদঘাটন করতে পারেনি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনী। এদিকে এ ঘটনায় একমাত্র গ্রেফতারকৃত ফারদিনের বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরাকে গ্রেফতার করে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। রিমান্ড শেষে গতকাল বুধবার আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে পুলিশ বলছে, ফারদিন হত্যায় বুশরার সম্পৃক্ততার বিষয়ে কোনো কংক্রিট প্রমাণ পাইনি। তবে তদন্ত চলমান। মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, তদন্তে ফারদিনের সঙ্গে বুশরার নিছক পরিচয় ও বন্ধুত্বের তথ্যই পাওয়া গেছে।
উল্লেখ্য, গত ৪ নভেম্বর রাতে বান্ধবী বুশরাকে রাজধানীর রামপুরায় পৌঁছে দেয়ার পর নিখোঁজ হন ফারদিন। এর তিন দিন পর ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ।
ফারদিনের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় বুশরা এবং অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনের নামে ৯ নভেম্বর রাতে রামপুরা থানায় মামলা করেন ফারদিনের বাবা ন‚র উদ্দিন রানা। পরদিন সকালে রাজধানীর রামপুরা এলাকার একটি বাসা থেকে বুশরাকে গ্রেফতার করা হয়।
১০ নভেম্বর তদন্তের জন্য বুশরাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করে রামপুরা থানার পুলিশ। আদালত তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ড দেয়। পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে গতকাল বুধবার বুশরাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আতাউল্লাহর আদালতে হাজির করে পুলিশ। শুনানি শেষে জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।
আদালতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক মজিবুর রহমান মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে রাখার আবেদন করেন। আর জামিনের আবেদন করেন আসামি পক্ষের আইনজীবী।
বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন ফারদিন। থাকতেন ডেমরা এলাকায়। ২০১৮ সালের শেষের দিকে ফেসবুকে একটি গ্রæপের মাধ্যমে বুশরার সঙ্গে ফারদিনের পরিচয় হয়। সেই থেকে মেসেঞ্জার ও মোবাইল কলে বিভিন্ন সময়ে একে অপরের সঙ্গে কথা বলত। আর এভাবেই তাদের মধ্যে বন্ধুত্বপ‚র্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন