ইউরোপীয় ঐতিহ্য ও সাফল্য বিচারে রিয়াল মাদ্রিদ ও লিভারপুলের কাছাকাছি তেমন কোনো ক্লাব নেই। এক এসি মিলান ছিল, যারা কয়েক বছর ধরেই ইউরোপের মঞ্চে নিজেদের হারিয়ে খুঁজছে। লিভারপুল আর রিয়াল- এবারও এই দুই দল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠে নিজেদের সামর্থ্যরে প্রমাণ দিয়েছে। নিজেদের ১৪তম শিরোপার খোঁজে যে ম্যাচটায় খেলবে রিয়াল, আর লিভারপুলের লক্ষ্য থাকবে রিয়ালকে পাশ কাটিয়ে নিজেদের সপ্তম শিরোপা ঘরে তোলার। এমন গুরুত্বপূর্ণ উপলক্ষ স্বচক্ষে দেখার জন্য সমর্থকদের টিকিট নিয়ে কাড়াকাড়ি লেগে যাওয়ার কথা। কিন্তু উয়েফা সেটা হতে দিলে তো! ফাইনাল হবে ফ্রান্সের জাতীয় স্টেডিয়াম, প্যারিসের স্তাদে দে ফ্রান্সে।
এই স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা ৭৫ হাজার। খালি চোখে হিসাব করলে প্রতি দলের জন্য অন্তত ৩৫ হাজার করে টিকিট বরাদ্দ থাকা উচিত। সেটা আর হচ্ছে কোথায়? উয়েফা ঘোষণা দিয়েছে, লিভারপুল ও রিয়াল মাদ্রিদের জন্য ১৯ হাজার ৬১৮টি করে টিকিট বরাদ্দ দেওয়া আছে, মেরেকেটে ২০ হাজারের মতো আরকি। দুই দল মিলে মোটামুটি ৪০ হাজারের মতো টিকিট পেলে বাকি থাকে ৩৫ হাজার। সে টিকিটগুলো কে বা কারা পাচ্ছে? প্রশ্নটা তুলেছেন লিভারপুলের কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ। বাকি টিকিটগুলো কোথায়, সেটাই বুঝতে পারছেন না এই জার্মান কোচ, ‘হ্যাঁ, এটা সত্যি আমরা ২০ হাজার টিকিট পেয়েছি। ওরাও ২০ হাজার টিকিট পেয়েছে। অর্থাৎ ৩৫ হাজার টিকিট বাকি আছে। কোথায় গেল ওই টিকিটগুলো?’
বাকি ৩৫ হাজার টিকিটের মধ্যে ১২ হাজার টিকিট উয়েফা বিশ্বের অন্যান্য জায়গায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা সমর্থকদের মধ্যে বিক্রি করে থাকে। সেসব টিকিট বিক্রির শেষ সময় ছিল ২৮ এপ্রিল। লিভারপুল আর রিয়াল যে ফাইনাল খেলবে, সেটা নিশ্চিতই হয়েছে ২৮ তারিখের পর। ফলে, বিশ্বের অন্যান্য জায়গার রিয়াল-লিভারপুলের সমর্থকেরা চাইলেও ফাইনালের টিকিট কিনতে পারেননি উয়েফার কাছ থেকে। বাকি থাকে ২৩ হাজার। এই টিকিটগুলো আনুষ্ঠানিক আতিথেয়তা কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিভিন্ন দেশের ফুটবল সংস্থা, ব্যবসায়িক অংশীদার, সম্প্রচার প্রতিষ্ঠানকে বিতরণ করবে উয়েফা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন