শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

রাবার শ্রমিকদের কর্মবিরতি

প্রকাশের সময় : ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

খাগড়াছড়ি জেলা সংবাদদাতা : বকেয়া বেতন ভাতা পরিশোধ, প্রকল্পের চেয়ারম্যান ও জিএম’র অপসারণের দাবীতে চতুর্থ দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করছে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড নিয়ন্ত্রিত উচ্চ ভূমি বন্দোবস্তীকরণ রাবার বাগান প্রকল্পের রাবার শ্রমিকরা। কর্মবিরতির তৃতীয় দিনে বরিবার দুপুরে খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে পুনর্বাসিত বহুমুখী রাবার বাগান পরিবার কল্যাণ পরিষদ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সদস্য জিতেন্দু চাকমা। লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করে বলেন, রাবার বাগান ব্যবস্থাপনা কমিটির গঠনতন্ত্রে প্রতিবছর বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম)সহ বিভিন্ন বৈঠকের কথা থাকলেও জিএম সুখময় চাকমা প্রকল্পের চেয়ারম্যান ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান তরুণ কান্তি ঘোষকে নানা প্রলোভন ও উপঢৌকন দিয়ে এজিএম ও অন্যান্য বৈঠক করতে দেননি। দীর্ঘ চার বছর পরে গত বৃহস্পতিবার খাগড়াছড়িতে রাবার বাগান ব্যবস্থা কমিটির বৈঠক বসে।
আর ওই বৈঠকে শ্রমিকরা তাদের বকেয়া বেতন ভাতার কথা তুললে জিএম সুখময় চাকমা ও চেয়ারম্যান তরুণ কান্তি ঘোষ তাদের থামিয়ে দেয়। প্রতিবাদে বৈঠক বয়কট করেন রাবার শ্রমিকরা। তিনি আরও বলেন, তিন পার্বত্য জেলায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের পরিচালিত রাবার বাগানগুলোতে ৩,৩০০ পরিবার রয়েছে। প্রতিটি পরিবারকে নিজ নামে ভূমি বন্দোবস্ত দেয়ার প্রতিশ্রæতি থাকলেও দীর্ঘ ৩৫ বছরেও তা দেয়া হয়নি। তারপর ৫-৬ মাস করে বেতন ভাতা বকেয়া রেখেছে। এতে করে পরিবারগুলো অভাব অনটনে দিন কাটাচ্ছে। সংবাদ সম্মেলন থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ও রাবার বাগান প্রকল্প থেকে এ দুই কর্মকর্তার অপসারণসহ বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবী জানানো হয়।
এছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন রাবার বাগানে পুনর্বাসিত বহুমুখী রাবার বাগান পরিবার কল্যাণ পরিষদের বান্দরবান জেলার প্রতিনিধি মংথুই মার্মা, জয়মুনি তংচঙ্গ্যা, খাগড়াছড়ি জেলার প্রতিনিধি মমং মার্মা, ললিত ত্রিপুরা, অঘোরায় ত্রিপুরা ও রাঙ্গামাটি জেলার প্রতিনিধি প্রীতিময় চাকমা। এদিকে রাবার শ্রমিকরা কস সংগ্রহ থেকে বিরত থাকায় তিন পার্বত্য জেলার দশটি রাবার প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানার কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়েছে। এতে করে প্রতিনিয়ত লোকসানের দিকে ধাবিত হচ্ছে স্বায়ত্তশাসিত এই প্রতিষ্ঠানটি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন