সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বোগলাবাজার ইউনিয়নের বাগানবাড়ি-রিংকু সীমান্ত বর্ডার হাট এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে।
বৃহষ্পতিবার সকালে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সীমান্ত হাটের উদ্বোধন করেন ছাতক-দোয়ারাবাজার আসনের সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক। বহুল প্রতিক্ষিত বাগানবাড়ি বর্ডার হাট উদ্বোধন হওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে আনন্দের জোয়ার বইছে। ওইদিন সকাল থেকেই দু'দেশের ক্রেতা-বিক্রেতারা এবং জনসাধারণ উপচে পড়া ভিড় ছিল সীমান্ত হাটে। তবে মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ার কারণে বর্ডার হাট সড়কটি কাদায় পিচ্ছিল হয়ে চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়ে। ভোগান্তির মধ্যেও ক্রেতা-বিক্রেতা এবং সাধারণ মানুষ ছুটে আসেন সীমান্ত হাটে। প্রথম দিনে বেশ কেনাকাটা হয় এ বর্ডার হাটে।
উদ্বোধনকালে বাংলাদেশ নিযুক্ত ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার সিলেট অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত নিরাজ কুমার জয়সওয়াল, সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবু সাইদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিষ্টার এম এনামুল কবীর ইমন, দোয়ারাবাজার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দেওয়ান তানভীর আল আশরাফী চৌধুরী, দৈনিক উত্তরপূর্ব পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক তাপস পুরকায়স্থ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবাংশু কুমার সিংহ, ভারতের শিলংয়ের এডিএম ডিপসাম্বর, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফয়সাল আহমেদ, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (ছাতক সার্কেল) বিল্লাল হোসেন, দোয়ারাবাজার থানার ওসি দেবদুলাল ধর, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক আমীরুল হক, হাজী আবদুল খালেক, সুরমা ইউপি চেয়ারম্যান এম এ হালিম বীরপ্রতীক, বোগলাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মিলন খাঁন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আহমদ আলী আপন, পান্ডারগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াহিদ, বাংলাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান এম আবুল হোসেন, দোয়ারাবাজার প্রেসক্লাব সভাপতি মুহাম্মদ হাবীবুল্লাহ হেলালী, সাধারণ সম্পাদক আশিক মিয়াসহ দুই দেশের সীমান্ত রক্ষীরা উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয়রা বলেন, বর্ডার হাট আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্য এবং জনগণের যোগাযোগে নতুনমাত্রা যোগ করছে। বর্ডার হাটগুলো স্থানীয় জনগণের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি করেছে। এটি সীমান্ত জনগণের জন্য আয়ের অতিরিক্ত উৎস হয়েছে। দুই দেশের মানুষের সংযোগ বাড়িয়েছে। বাংলাদেশ ও ভারতের স্থানীয় জনগণের উৎপাদিত কৃষি ও উদ্যানজাত পণ্য, ক্ষুদ্র কৃষি ও গৃহস্থালির পণ্য, সবজি, শুকনো মাছ, কুটির শিল্পের জিনিসপত্র, কাঠের আসবাবপত্র, তাঁত এবং হস্তশিল্পের পণ্যবিক্রির সুযোগ সৃষ্টি করেছে।
উল্লেখ্য, সীমান্ত হাট স্থাপনের জন্য বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে ২০১৮ সালে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। এরই আলোকে এসব হাট চালু করা হচ্ছে। এতে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখার উদ্দেশ্যে সীমান্ত হাট চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কোনো ধরনের শুল্ক ছাড়াই সীমান্ত হাটে উভয় দেশের পণ্য কেনাবেচা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন