রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

চার বছর পর অধিনায়ক জিমি

চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যে হকি দলের হংকং যাত্রা

প্রকাশের সময় : ১৭ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস রিপোর্টার : দীর্ঘ চার বছর অধিনায়কের আর্মব্যান্ড ছাড়াই টার্ফ মাতিয়ে বেড়িয়েছেন। দেশসেরা সেই হকি তারকা রাসেল মাহমুদ জিমি ফের ফিরে পেয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব। তার নেতৃত্বেই হংকংয়ে অনুষ্ঠেয় এশিয়ান হকি ফেডারেশন (এএইচএফ) কাপ টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হতে বদ্ধপরিকর লাল-সবুজরা। তাই শিরোপা জয়ের লক্ষ্যেই গতকাল হংকং যাত্রা করলো বাংলাদেশ জাতীয় হকি দল। ভিসা জটিলতা কাটিয়ে রাত ১২টা ৫০ মিনিটে ঢাকা ছেড়েছে জিমি বাহিনী। দেশ ছাড়ার আগে কাল বিকালে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় দলের প্রধান কোচ অলিভার কার্টজ ও অধিনায়ক রাসেল মাহমুদ জিমির কণ্ঠে ছিলো শিরোপা জয়ের দৃঢ় প্রত্যয়।
প্রধান কোচ অলিভার কার্টজের কথা, ‘আমাদের প্রধান লক্ষ্য এএইচএফ কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে এশিয়া কাপে খেলতে যাওয়া। আমি তেমন ভালো কোচ নই। তারপরও যতটুকু জানি তা দিয়েই চেষ্টা করেছি জিমিদের গড়ে তুলতে। পুরনো ও নতুনদের অভিজ্ঞতার মিশ্রণে দুর্দান্ত একটি দল এটি। ইউরোপীয় স্ট্রাকচার ও টেকনিকের সঙ্গে পরিচিত হতেই জার্মানিতে কন্ডিশনিং ক্যাম্প করেছে আমার দল। আশা করি হংকংয়ে বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা নিজেদের সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করবে। আমার ধারণা তারা সফল হবে।’ অধিনায়ক জিমি বলেন, ‘আমার উপর বিশ্বাস রেখেছে ন্যাশনাল টিম ম্যানেজমেন্ট। আমি সেই বিশ্বাসের মর্যাদা দিতে চেষ্টা করবো। জার্মানিতে আমরা অনেক উন্নতি করেছি। প্রত্যেকটি ম্যাচের পরেই ভিডিও দেখেছি। ভুল-ক্রুটিগুলো শোধরানোর চেষ্টা করেছি। পিসি  পেনাল্টি কর্ণার) স্পেশালিস্ট হিসেবে চয়নের খ্যাতি আগেই ছিল। এবার চয়নের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আরেক স্পেশাল্টি আশরাফুল। তাই আমার বিশ্বাস এবার আর আমাদের পিসি নষ্ট হবে না। আমরা চ্যাম্পিয়ন হতেই হংকং যাচ্ছি। আল্লাহ সহায় হলে আমরাই সফল হবো।’
এএইচএফ কাপে আগের চার আসরে খেলেছিল বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় আসরে ২০১০ সালে জার্মান কোচ গেরহার্ড পিটারের অধীনে চ্যাম্পিয়ন না হয়েও এশিয়া কাপে খেলার সুযোগ পেয়েছিলো লাল-সবুজরা। তবে ২০১২ ও ২০১৪ সালের এই টুর্নামেন্টে টানা দু’বারের চ্যাম্পিয়ন জিমি, চয়নরা। দু’বারেরই স্থানীয় কোচ মাহবুব হারুনের অধীনে প্রস্তুতি নেয় দল। তাই সাফল্যের দিক দিয়ে মাহবুব হারুনই শতভাগ এগিয়ে। তবে এবার পাঁচ বিদেশিসহ ছয় জনের কোচিং স্টাফে তিনি প্রধান কোচের দায়িত্বে না থাকলেও দলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন স্থানীয় কোচের কোটায়। জানা গেছে, এএইচএফ কাপে শিরোপার প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির মেলবন্ধন ঘটাতেই নাকি এই বিশাল কোচিং স্টাফ নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
১৮ জনের জাতীয় দলের একটি খেলোয়াড় তালিকা থাকলেও জানা গেছে, বিশাল এক বহর যাচ্ছে হংকংয়ে। টুর্নামেন্টে কাভার করতে ইলেক্ট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার ১২ জন সদস্যও রয়েছেন সেই বহরে। কোচ ও কর্মকর্তা মিলিয়ে রয়েছেন ১২ জন। এর বাইরেও যাচ্ছেন প্রায় আরও ২০ জন। যার ফলে হংকংয়ের ভিসা পেতেই হিমশিম খেতে হয়েছে ফেডারেশনের কর্মকর্তাদের। একটি সূত্র জানায়, সার্ভিসেস দলের বাইরের খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের জন্য সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা করে খরচ হয়েছে ভিসা পেতে। বিশাল এই বহরের জন্যই শেষ মুহূর্তে (বুধবার সকাল ১১টা) ভিসা পেতে হয়েছে জিমিদের।
বাংলাদেশ খেলবে ‘এ’ গ্রুপে। এখানে তাদের সঙ্গী চাইনিজ তাইপে, হংকং ও ম্যাকাও। অন্যদিকে ‘বি’ গ্রুপের দলগুলো হলো- শ্রীলঙ্কা, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও উজবেকিস্তান।
১৯ নভেম্বর শুরু হবে টুর্নামেন্টের খেলা। শুরুর দিনেই স্বাগতিক হংকংয়ের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামবে লাল-সবুজ বাহিনী। ২১ নভেম্বর জিমি চয়নদের প্রতিপক্ষ চাইনিজ তাইপে এবং ২৩ নভেম্বর ম্যাকাও চায়না। ২৬শে নভেম্বর কোয়ার্টার ফাইনাল এবং পরদিন ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় হকি দলের ১৮ সদস্য : রাসেল মাহমুদ জিমি (অধিনায়ক), জাহিদ হোসেন, মামুনুর রহমান চয়ন, রেজাউল করিম বাবু, ফরহাদ আহমেদ সিটুল, আশরাফুল ইসলাম, খোরশেদুর রহমান, ইমরান হাসান পিন্টু, সারোয়ার হোসেন, রুম্মন সরকার, কামরুজ্জামান রানা, মইনুল হক কৌশিক, পুষ্কর ক্ষিসা মিমো, মিলন হোসেন, কৃষ্ণ কুমার, তাপস বর্মন, হাসান যুবায়ের নিলয় ও অসিম গোপ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন