একটি গোল। একটি শিরোপা। একটি দলের ইতিহাসই গেল বদলে। ফুটবল বিশ্বে এখন জায়ান্ট দল ম্যানচেস্টার সিটি। গত ১০ বছরে এরপর অনেক কিছুই অর্জন করেছে দলটি। যে ঘটনায় এই বাঁকবদল, ঠিক এক দশক পর সার্জিও আগুয়েরোর সেই ঐতিহাসিক গোল দেওয়ার সেই উদযাপনের আদলে তৈরি ভাস্কর্য উন্মোচন করল ম্যানসিটি। তাতে ইতিহাদে যেন অমরত্ব পেল অনাকাঙ্খিতভাবে ফুটবলকে বিদায় বলা এই আর্জেন্টাইন তারকা।
২০১২ সালের ১৩ মে সিটিকে প্রথম ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ শিরোপার স্বাদ এনে মূল নায়ক আগুয়েরো। ম্যাচে যোগ করা সময়ে করা দুর্দান্ত সেই গোলের সুবাদেই ৪৪ বছর পর শিরোপায় চুমু খায় তারা। এক দশক পর সেই দিনটি স্মরণ করে এ আর্জেন্টাইন তারকাকে বিশেষ সম্মান দিল ক্লাবটি। ইতিহাদ স্টেডিয়ামের সামনে ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়েছে আগুয়েরোর।
ক্লাবের হয়ে আগুয়েরোর কীর্তিকে সম্মান জানিয়ে ম্যানসিটির চেয়ারম্যান খালদুন আদ-মুবারক বলেছেন, ‘এই মুহূর্তটি সবকিছু পাল্টে দিয়েছিল। ১০ বছর পর যদি দেখেন, সেই মুহূর্তটি আজকে আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথ চিনিয়ে দিয়েছিল। এই সম্মান তার (আগুয়েরো) প্রাপ্য। আমি মনে করি, সে এই ক্লাবের কিংবদন্তি।’
এদিন আগুয়েরোর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অনুশীলনে নতুন জার্সি পরে পেপ গার্দিওলার দল। ঐতিহ্যবাহী হালকা-নীল স্ট্রাইপের সঙ্গে একটি সাদা বেস রাখা হয়েছে। যার চারপাশে থাকছে সোনালী রংয়ের প্রলেপ। কিউপিআরের বিপক্ষে করা সেই গোলটির ছবিও ফুটিয়ে তোলা হয়েছে জার্সিতে। একই সঙ্গে আগুয়েরো সেদিন যে বুট পরে খেলেছিলেন, সেই রং ও ডিজাইনের বুটও এনেছে সিটির পৃষ্ঠপোষক পুমা। বুটের গায়ে বিখ্যাত ওই গোলের স্বারক হিসেবে লেখা থাকবে ৯৩:২০। ম্যাচের যোগ করা সময়ের ৩ মিনিট ২০ সেকেন্ডে সেই আইকোনিক গোলটি করেছিলেন এ আর্জেন্টাইন।
২০১১ সালে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ থেকে সিটিতে যোগ দেন আগুয়েরো। ক্লাবটির হয়ে ৩৯০ ম্যাচ খেলে সর্বোচ্চ ২৬০ গোলের রেকর্ড গড়েন তিনি। চলতি মৌসুমের শুরুতে ক্লাব ছেড়ে বার্সেলোনায় যোগ দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দুর্ভাগ্য তার অনিয়মিত হৃৎস্পন্দনের কারণে ফুটবলই ছেড়ে দিতে হয় তাকে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন