এখন সভ্যতার মুখোশে চলছে অসভ্যতার উৎসব,
নিয়নবাতির নারকীয় জলসায় উচ্ছ্বাসে ভাসে কৃষ্ণলীলার
বৃন্দাবন, অসহায় চোখ রাখি চেতনার মানচিত্রে,
দেখি অদৃশ্য দানবের অশরীরী আত্মার অবাধ বিচরণ,
হৈমন্তিকা ভালোবাসার রোদ প্রভাতি শিশিরের মিলনের
পূর্বেই ধর্ষণের আবরণে অসহায় আত্মসমর্পণ, দুবর্িৃত্ত সময়
অবিরাম ছিঁড়ে নেয় সোনালি স্বপ্নের পালক।
সভ্যতার রঙিন চাদরের শৈল্পিক ভাঁজে প্রতিবাদের নাটকীয়
সংলাপে পুলকিত জনতার মেলা, নিঃশেষিত রক্ততিলকে যন্ত্রণার
পথ প্রলম্বিত; ঝরা পাপড়ির কষ্টের আলপনা বিদায়ী
সূর্যের লালীমায় রাখে নিয়তির নির্মম স্বাক্ষর।
কষ্টের বৈপ্লবিক সূত্রগুলো মুখ ফিরিয়ে নিলে
আমি ফিরে যাব দত্তপাড়ার প্রমীলার কাছে,
ক্লান্তির স্বর্গীয় অবসাদে নৈতিকতার শেকড় কেটে আদিম
কামুক চোখে চোখ রেখে খুঁজবো আমার স্বাধীনতা।
আমি ফিরে যেতে চাই গভীর অরণ্যের মাঝে,
যেখানে মেকি সভ্যতার আলো আমাকে খুঁজে পাবে না,
নিয়মের বৈদ্যুতিক সিগন্যাল আমাকে সতর্কতার আলো
দেখাবেনা, সভ্যতার হে জাগ্রত পথিক, এসো অরণ্যের
সবুজ ছায়ায়; গড়ে তুলি সভ্যতার এক নতুন ভুবন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন