মুশফিকুর রহিম-বাংলাদেশ ক্রিকেটে একটি ভরসার নাম। চলমান শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ইনিংসেই নিজ ক্যারিয়ারে পাঁচ হাজার রান পূর্ণ করেছেন। টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটার হিসেবে এই বিরল কৃতিত্ব অর্জন তার। একই ইনিংসে দীর্ঘ ২৭ মাস পর তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরিও। এমন সাফল্যের পেছনে মহান আল্লাহ তা’য়ালার রহমত এবং নিজের পরিশ্রমের কথাই বললেন মুশফিক। গতকাল চট্টগ্রাম টেস্টের চতুর্থ দিনে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে পাঁচ হাজার রানের ক্লাবে প্রবেশের আগে, ২০১৩ সালে মুশফিকই হয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিয়ান। অথচ ওই ম্যাচেই মোহাম্মদ আশরাফুলের সামনে প্রথমবার সুযোগ ছিল ডাবল সেঞ্চুরি করার। চট্টগ্রাম টেস্টে মুশফিকের আগে পাঁচ হাজার করতে পারতেন ওপেনার তামিম ইকবাল। শেষ পর্যন্ত মুশফিকই করেছেন এ দুই রেকর্ড।
কাল দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে পবিত্র কোরআনের আয়াত উচ্চারণ করেই মহান আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন দেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক মুশফিকুর রহিম। পাশাপাশি নিজের পরিশ্রমের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন,‘(কপালে হাত রেখে) এই যে কপালটা দেখছেন... হাসবুনাল্লাহু ওয়া নি’মাল ওয়াকিল; নি’মাল মাওলা ওয়া নি’মান নাসির (যার অর্থঃ আল্লাহ তাআলাই আমাদের জন্য যথেষ্ট, তিনিই হলেন উত্তম কর্মবিধায়ক; আল্লাহ তাআলাই হচ্ছেন উত্তম অভিভাবক এবং উত্তম সাহায্যকারী)।’ আল্লাহর কাছ থেকে পরিশ্রমের ফল পাওয়ার কথা জানিয়ে মুশফিক আরও বলেন,‘আমি যখন অনুশীলনের জন্য সকালে উঠি, তখন আপনাদের অনেকেই ঘুমিয়ে থাকেন। তো আল্লাহর রহমত তো আছে। আল্লাহ কিছুটা হলেও দেখেন।’ এ সময় তামিমের সঙ্গে পাঁচ হাজার রানের প্রতিযোগিতার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি সবসময় একটা জিনিস বিশ্বাস করি, আপনি নিজে করে যতটা মজা পাবেন, সেটা যদি আপনার সতীর্থ বা বন্ধু বা ভাই করে তাহলে আনন্দটা অন্যরকম। আমার কাছে এমনই মনে হয়।’
মুশফিক যোগ করেন,‘আমি প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করার পর তামিমই আমার রেকর্ড ভেঙেছিল। আমি খুবই খুশি হয়েছিলাম। এটাই স্বাভাবিক। কারণ রেকর্ড হয়ই ভাঙার জন্য। ও সেটা খুবই তাড়াতাড়ি ভেঙেছে। আবার ও আমাকে বলেছিল, তুই-ই আমাকে ছাড়িয়ে যাবি। এটি খুবই স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা, যেভাবে আমরা সতীর্থরা একে অপরকে সাপোর্ট করি।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন