শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

‘পেশাদার বক্সিং আয়োজনের ধারা অব্যাহত থাকবে’

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২১ মে, ২০২২, ১০:০১ পিএম | আপডেট : ১২:৩১ এএম, ২২ মে, ২০২২

বাংলাদেশ বক্সিং ফাউন্ডেশনের (বিবিএফ) সভাপতি আদনান হারুনের হাত ধরে পেশাদার বক্সিং যুগে বাংলাদেশের প্রবেশের ক্ষণটি স্মরণীয় হয়ে থাকলো বাংলাদেশের দুই তারকা মোহাম্মদ আল আমীন ও সুরো কৃষ্ণ চাকমার জন্যও।


‘বাংলাদেশে পেশাদার বক্সিং টুর্নামেন্ট আয়োজনের এ ধারা অব্যাহত থাকবে’- কথাটি বলেছেন, বাংলাদেশ বক্সিং ফাউন্ডেশনের (বিবিএফ) সভাপতি আদনান হারুন। বিবিএফের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক বক্সারদের নিয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে দেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো ‘সাউথ এশিয়ান প্রফেশনাল বক্সিং ফাইট নাইট-দ্য আল্টিমেট গ্লোরি’ নামের একটি টুর্নামেন্ট। মিরপুরস্থ শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই টুর্নামেন্টের মধ্যদিয়েই বাংলাদেশ অনুষ্ঠিকভাবে প্রবেশ করল পেশাদার বক্সিং যুগে। ওয়ার্ল্ড বক্সিং কাউন্সিলের অনুমোদনে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় সহযোগিতা করেছে এক্সেল স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড প্রোমোশনস। এ আসরে বাংলাদেশ, নেপাল ও ভারতের ১৪ জন বক্সার ওয়েট ক্লাসে মোট সাতটি ফাইটে অংশ নেন। তারকা বক্সার মোহাম্মদ আল আমিন ও সুরো কৃষ্ণ চাকমাসহ বাংলাদেশের মোট ১১ জন বক্সার খেলেছেন এ টুর্নামেন্টে। প্রতিযোগিতার প্রধান আকর্ষণ ছিল বাংলাদেশ ও নেপালের দুই পেশাদার বক্সার মোহাম্মদ আল আমিন এবং ভারত চাঁদের ফাইট। ৬৬ কেজি ওয়েল্টারওয়েট ক্যাটাগরির এ দুই বক্সার চার রাউন্ড লড়াই করেন। যেখানে জয় পান গত বাংলাদেশ গেমসে সোনা জেতা বক্সার আল আমিন।

দেশের বক্সারদের আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম দিতে এবং বক্সিং খেলাকে পেশা হিসেবে বেছে নেওয়ার সুযোগ করে দিতেই বিবিএফের এই আয়োজন বলে জানান সংগঠনের সভাপতি আদনান হারুন। বৃহস্পতিবার প্রতিযোগিতার সফল সমাপ্তির পর শনিবার তিনি বলেন,‘দেশে এমন ত্রিদেশীয় পেশাদার বক্সিং টুর্নামেন্টের আয়োজন এর আগে কেউ করেননি। আমাদের বক্সিংয়ের ইতিহাসে এটি একটি বিরল ঘটনা। আমি বিশ্বাস করি আমাদের আয়োজন আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। আমাদের এমন আয়োজনের ধারা অব্যাহত থাকবে।’ আদনান হারুন যোগ করেন,‘আমরা একটি পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে চলছি। পেশাদার বক্সিংকে ঘিরে দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা আছে আমাদের। আমি চাই বাংলাদেশের অ্যামেচার বক্সাররা এগিয়ে আসুক পেশাদার প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে। যদি তারা পেশাদার প্রতিযোগিতায় অংশ নেন তাহলে আর্থিক সচ্ছলতার পাশাপাশি তাদের সামাজিক মর্যাদাও বাড়বে। পেশাদার বক্সার হিসেবে লাইসেন্স পাওয়ার পর গ্লোবাল র‌্যাঙ্কিংয়ে তাদের জায়গা হবে। আমাদের দেশে বেশ ভালোমানের অ্যামেচার বক্সার রয়েছেন। তারা যদি নিজেদের পেশাদারিত্বে নিয়ে আসেন তাহলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরও বেশি ভালো করতে পারবেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বক্সারদের সঙ্গে ফাইট করে দেশের মান বাড়াতে পারবেন বলে মনে করি।’

বিবিএফের সভাপতি আরও বলেন,‘আমি নিজেই একজন বক্সার। বক্সিংকে ভালবাসি বলেই সংগঠকের ভূমিকায় থেকে এই খেলার উন্নয়নে কাজ করতে নেমেছি। সবার সহযোগিতা পেলে দেশে পেশাদার বক্সিং খেলাকে অনেক বেশি জনপ্রিয় করে তুলতে পারবো বলে বিশ্বাস করি।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন