সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

সংসারে স্বচ্ছলতা আনলো সফল দম্পতি

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৯ নভেম্বর, ২০১৬, ১০:৪৫ পিএম

আবদুল হালিম দুলাল, মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) থেকে : মঠবাড়িয়া উপজেলার আন্ধার মানিক গ্রামের গৃহবধূ রুনু বেগমের স্বামী ও ৩ সন্তান নিয়ে অভাবের সংসার। বসতঘরের ভিটি ছাড়া স্বামীর আর কোন জমিজমা নাই বললেই চলে। স্বামী মোঃ হাবিবুর রহমানের পৈতৃক সূত্রে পাওয়া কাঠ মিস্ত্রীর কাজের টাকা দিয়ে খেয়ে না খেয়ে সংসার চলত। ২০০৭ সালের ১৫ ফেব্রæয়ারী রাতে প্রলয়ঙ্কারী ঝড় সিডর সম্বল বলতে ২টি ছাগল এবং কিছু হাঁস-মুরগী মারা গেলে রুনুর পরিবারে গাঁঢ় অন্ধকার নেমে আসে।
এই দুঃসময়ে রুনুর পাশে দাঁড়ায় ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশন মঠবাড়িয়া ইউনিট। রুনু বেগম ২০১২ সালের ৫ ফেব্রæয়ারী ফাউন্ডেশনের আন্ধার মানিক গ্রামের ৩৭ নং হযরত মরিয়াম (আঃ) কেন্দ্রের ৬নং দলের সদস্য (নং-৩০০৮) হয়ে বিনা লাভে ১৫ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে নতুন জীবন শুরু করেন। টাকা দিয়ে কাঠ কিনে স্বামীকে নিয়ে ফার্নিচার তৈরী করে বিক্রি করে লাভের মুখ দেখেন। লাভের টাকা দিয়ে সংসার চালিয়ে ঋণের কিস্তিও পরিশোধ করতে থাকেন। ফাউন্ডেশনের লোকজন তাদের কাজে খুশি হয়ে ঋণের অংকও বাড়াতে থাকেন। সর্বশেষ রুনু ২০১৫ সালে ফাউন্ডেশন থেকে ২৪ হাজার টাকা ঋণ নেয়।
রুণু বেগমের সফলতার কাহিনী শুনতে তার বাড়িতে গেলে রুনু বেগমকে স্বামীর ফার্নিচার তৈরীর কাজে সহযোগিতা করতে দেখা যায়। রুনু জানান, এক সময় তারা ৩ বেলা ঠিকমত খেতে পারত না। ফাউন্ডেশনের ঋণের টাকায় কাঠ কিনে ফার্নিচার তৈরী করে বিক্রি করে ২ মেয়ের লেখাপড়া, সংসার খরচ এবং কিস্তি দিয়ে এখন পর্যন্ত তার লক্ষাধিক টাকা লাভ হয়েছে। রুনুর স্বামী হাবিবুর রহমান জানান, সিডরে সব হারাবার পর যখন পাশে কেউ দাঁড়াবার ছিল না তখন ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশন বিনা লাভে ঋণ দিয়ে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। তিনি আল্লাহর নিকট শুকরিয়া আদায় করে ফাউন্ডেশন যেন আরও খেদমত করতে পারে তার জন্য দোয়া করেন।
ফাউন্ডেশনের মঠবাড়িয়া ইউনিটের ইনচার্জ মোঃ আলী আজীম জানান, রুনু বেগমের মত দরিদ্র অথচ উদ্যেমী মানুষের পাশে ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশন থাকবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন