শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ব্যবসা বাণিজ্য

ভোজ্য তেলের দাম কমার আভাস বাণিজ্যমন্ত্রীর

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩ জুন, ২০২২, ১২:০৪ এএম

দেশে ভোজ্যতেলের দাম কমার আভাস দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় চা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী এ আভাস দেন। এক বছর ধরে দেশে ভোজ্যতেলের বাজারে অস্থিরতা চলছে। করোনার কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের কাঁচামালের দাম দফায় দফায় বাড়ার কারণে দেশীয় বাজারে এ পণ্যটির দাম হুহু করে বেড়েছে। প্রতিবারই সরকারি হস্তক্ষেপে দাম নির্ধারণ করা হলেও প্রতিফলন ঘটেনি বাজারে।
সর্বশেষ ঈদের পরের দিন ৫ মে বোতলজাত প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১৯৮ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৮০ টাকা নির্ধারণের ঘোষণা দেয়া হয়। এর পর থেকে সয়াবিন তেলের বাজারে সংকট দেখা দেয়। এমন বাস্তবতায় ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমা শুরু হয়েছে এবং ইন্দোনেশিয়া রফতানির নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। একটা মাস, দুই মাস ধরে আমরা রিঅ্যাসেস করব। খুব শিগগিরই পাঁচ থেকে সাত দিনের মধ্যে মে মাসের পুরো তথ্য নিয়ে আমরা রিভিউ করব। আমাদের কাছে যেটা রিপোর্ট আছে, আজকে দাম কমেছে। আজকের দামের প্রভাব ফেলতে সময় লাগবে এক থেকে দেড় মাস।
তিনি বলেন, সুখবর যেটা, পাম অয়েলের দাম কমেছে এবং সয়াবিনের দাম কমার দিকে লক্ষ করা যাচ্ছে। ছয়-সাত দিনের মধ্যে যে সভাটা হবে, সেটা অ্যাসেস করে দেখে নতুন দাম নির্ধারণ করা হবে।
টিপু মুনশি বলেন, বাড়ার সম্ভাবনা নেই আমার ধারণা। নতুন দাম অনুযায়ী দামটা কমবে। পাম অয়েলে তো যথেষ্ট প্রভাব পড়বে মনে করি। সয়াবিনের অতটা বাড়বে না, সে রকমই আমরা আশা করি।
চালের দামের বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, মূলত চাল কন্ট্রোল করে খাদ্য মন্ত্রণালয়। এই ব্যাপারে আমাদের সাহায্য চাইলে আমরা সাহায্য করব। আমরা যতটুকু জেনেছি, খাদ্য মন্ত্রণালয় আটটি টিম করেছে। এসব টিম ইতোমধ্যে বেরিয়ে পড়েছে জানার জন্য এবং কতটুকু স্টক আছে, তা বের করার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, যেকোনো কিছুর সুফল পেতে হলে সময় দিতে হয়। আশা করছি এ সপ্তাহের মধ্যে তারা আরও ভালো অবস্থানে নিয়ে যাবে। আমাদের দেশে চালের অভাব নেই। যা দরকার, তা কিন্তু আমাদের আছে। কোথাও কোথাও কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে। একটি সিম্পল প্রশড়ব আমার রয়ে গেছে। আমি সেদিনও বলতে চেয়েছিলাম। যে চালটা ৫০ টাকা, সেটি শুধু প্যাকেট করেই ৭০ থেকে ৭৫ টাকা বিক্রি করছে। একই চাল খোলাবাজারে ক্রেতা কম দামে কিনতে পারে। নিশ্চয়ই তারা কাস্টমার পাচ্ছে বলেই বিক্রি করতে পারছে। মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থার কারণে তারা আজকে প্যাকেটজাত খাবার খাচ্ছে।
তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ এখন মোটা চাল খেতে চাচ্ছে না। মোটা চালের ক্রেতা নেই। মোটা চাল চিকন করা হচ্ছে এবং সেই চালটিই খাওয়া হচ্ছে।
ওই সময় অপর প্রশেড়বর জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারের লক্ষ্য স্বল্প আয়ের মানুষের স্বার্থ দেখা। আপনারা জানেন দেশের মানুষের μয়ক্ষমতা বেড়েছে। ১৭ কোটি মানুষের মধ্যে প্রায় সাড়ে চার থেকে পাঁচ কোটি মানুষের সামর্থ্য হলো প্রায় ওয়েস্টার্ন ওয়ার্ল্ড, ইউরোপের মতো। বাকি তিন কোটি ২০ শতাংশ মানুষের আয় স্বল্প। যাদের টাকা আছে তিনি কী করবেন, সেটি আমাদের দেখার বিষয় নয়। সরকারের লক্ষ্য নিমড়ব আয়ের মানুষের স্বার্থ দেখা। আমাদের কথা হলো ন্যায্য মূল্যের যেসব পণ্য পাওয়া উচিত, সেটা আমরা অবশ্যই দেখব।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেখা দরকার সাধারণ মানুষ সঠিক মূল্যে পণ্য কিনতে পারছে কি না। ক্রয়ক্ষমতার দুইটি দিক রয়েছে। একটি হলো যারা উৎপাদনকারী এবং যারা ভোক্তা। আমরা যদি এমন একটি পর্যায়ে নিয়ে যাই যে, উৎপাদনকারী আর ইন্টারেস্ট পাচ্চ্ছে না, তাহলে কিন্তু প্রভাব পড়বে। আমাদের দেখতে হবে উৎপাদন খরচ, প্রফিট, মার্জিন কতটা থাকা উচিত এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ প্রাইসের ক্ষেত্রে যেন কোনোভাবে বড় ধরনের পার্থক্য না থাকে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন