শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

খুলনা রেঞ্জের বন বিভাগের সহযোগিতায় চলছে পার্শে মাছের রেণুু ধরার হিড়িক অর্ধশতাধিক ট্রলার যাচ্ছে সুন্দরবনে

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২১ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:২৭ এএম

মোস্তফা শফিক, কয়রা (খুলনা) থেকে ঃ সুন্দরবনের পার্শ্ববর্তী এলাকায় শতাধিক ইঞ্জিন চালিত ট্রলার সাদা মাছ ধরার নামে পার্শে মাছের রেণু সংগ্রহে একঝাক চোরা শিকারিরা এখন সুন্দরবনের পথে। মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বন বিভাগ নিরব থাকার খবর পাওয়া গেছে।
সম্প্রতি সুন্দরবনের দুবলার চরের মেলা দেখার নামে একদল রেণু নিধনকারীরা সুন্দরবন অঞ্চলের বিভিন্ন্ পথ ঘাট প্রত্যক্ষ করে পার্শে মাছের রেণু সংগ্রহের জন্য প্রস্তুতি সম্পন্ন করে। গতবারের ন্যায় চলতি বছরে প্রতিটি ট্রলারে ১০ থেকে ১২ জন রেণু সংগ্রহের জন্য বি,এ,সি ও পাশ পামিটের মাধ্যমে সাদা মাছ ধরার নামে নেটজাল নিয়ে সুন্দরবনে ঢুকছে। স্থানীয় ও পাশ্বাবর্তী ফরেস্ট স্টেশন থেকে এসব চোরা মৎস্য শিকারিরা নামে বেনামে পাশ পারমিট নিয়ে সুন্দরবনে প্রবেশ করে বিভিন্ন চর অঞ্চলে সকাল সন্ধায় এবং গভীর রাতে নেটজাল দারা ছেকনা দিয়ে ঝাক ঝাক রেণু, তার মধ্যে পার্শ্বে, দাতনে, ভোলা, কাইন, পাঙাস, পায়রা, কইফুল, রেখা, লটকি, চিতল, খরকুল্লাহ, নুচু, টেংরা, খয়রা, ভেটকি, কাকশেল, রুপচাদা, গাগড়া, নেটের ভেশালী, মেদ, ৮-১০ প্রকার চিংড়ি মাছের রেণু, বাঙস সহ প্রা দুই শতাধিক প্রজাতির সাদা মাছের রেণু আটক করে শুধুমাত্র পার্শে মাছের রেণু রেখে বাকী সাদা মাছের রেনু ধ্বংস করার ফলে নদ-নদীতে বিলিন হতে চলেছে সাদা মাছ। রেণু শিকারিরা প্রতি বছর বাংলাদেশ কোস্টগার্ড, নৌ-বাহিনী ও র‌্যাবের চোখ ফাঁকি দিয়ে বন বিভাগের সাথে চুক্তি করে প্রতি কেজি ৩-৪ হাজার টাকায় বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা উপার্জন করে চলেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পার্শে মাছের রেণু ধরা এক শিকারি এ সংবাদদাতাকে বলেন, বন বিভাগকে ম্যানেজ করেছি- তবে কোস্টগার্ড ম্যানেজ করার জন্য যোগাযোগ চলছে। তিনি বলেন, টাকা দিলে বাঘের চোখ মেলে। অপর দিকে কয়রার ঝিলিয়াঘাটা ও উত্তর বেদকাশীর কিছু রেণু নিধন চক্র এ সংবাদদাতাকে বলেন, বন বিভাগের টহল ফাড়ি থেকে শুরু করে সকল স্টেশনের সাথে আমাদের যোগাযোগ; এমনকি খুলনা রেঞ্জের এ.সি.এফ সাহেবকেও ম্যানেজ করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, রেণু সংগ্রহ করা ট্রলার কোন পথে যাবে, তাও নির্দিষ্ট করা হয়েছে- ভালো যোগাযোগ হয়েছে বলে ২-৩ লাখ টাকা খরচ করে লোকজন নিয়ে বনে যাচ্ছি। এছাড়া বিভাগীয় বন কর্মকর্তা সম্পর্কে জানতে চাইলে রেণু শিকারীরা বলেন, ডি,এফ, ও সাহেব তো নদীতে নামেন না, ওটা এ,সি,এফ সাহেবের দায়িত্ব। তাই আমরা এ,সি,এফ সাহেবকে ম্যানেজ করেছি।
এভাবে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকার রেণু পোনা সুন্দরবনের নদ-নদী থেকে বিলীন হওয়ায় সাদা মাছের অভাব দেখা দিচ্ছে। অপরদিকে বন বিভাগের সহযোগিতায় রক্ষক নামের ভক্ষকরা কিছু পয়সার বিনিময়ে সাগর অঞ্চলের বড় বড় চরে সুস্বাধু পার্শে মাছের রেণু সংগ্রহে সহযোগিতা করায় সরকারের ভাবমূর্তি নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন