কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ১৪টি ওয়ার্ডে বিএনপির ১৫ নেতা ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থীসহ ১৬ জন অংশ নিয়েছেন। বিএনপির এই ১৬ কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ৯ জনকে সদ্য ঘোষিত কুমিল্লা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির বিভিন্ন পদে রাখা হয়েছে। কিন্তু সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে অংশ নেওয়ায় মনিরুল হক সাক্কু ও নিজাম উদ্দিন কায়সারকে আজীবনের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করে বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করেছে বিএনপি। অথচ কাউন্সিলর প্রার্থীদের বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করে ৯ কাউন্সিলর প্রার্থীকে সদ্য ঘোষিত মহানগর বিএনপির কমিটির পদে রাখায় কেন্দ্রীয় বিএনপির দুই রকম সিদ্ধান্তে হতবাক জেলার নেতাকর্মীরা।
দলীয় নেতাকর্মীদের দাবি, বিএনপি বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও কুমিল্লায় কাউন্সিলর প্রার্থীদের নির্বাচন চলাকালীন সময়ে দলীয় পদ দেওয়া কোনভাবেই ঠিক হয়নি। এতে করে তৃণমূলে প্রচণ্ড ক্ষোভ সৃষ্টি হচ্ছে।
এবারের কুসিক নির্বাচনে মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন সাবেক মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কু এবং নিজাম উদ্দিন কায়সার। দুজনই বিএনপি নেতা। সাক্কু কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কায়সার কুমিল্লা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতির পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। সাক্কু ও কায়সার দল থেকে পদত্যাগ করে নির্বাচনের ঘোষণা দিলে গত ১৯ মে দলের কেন্দ্র থেকে তাদের আজীবন বহিষ্কারের ঘোষণা দেয়া হয়। এর দু’দিন পর গত ২১ মে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের সাক্কু ও কায়সারের নির্বাচনের প্রচারকাজে অংশ নিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেয় দলের জেলা কমিটি।
এদিকে গত ৩০ মে কেন্দ্রীয় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত কুমিল্লা মহানগর বিএনপির ৪৪ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। এতে সিটি নির্বাচনে অংশ নেওয়া ৯ কাউন্সিলর প্রার্থীকে নির্বাচন চলাকালীন নবগঠিত মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটিতে পদ দেওয়া হয়। সদ্য পদ পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন, ২ নং ওয়ার্ডের মো. বিল্লাল, ৩ নং ওয়ার্ডে আবদুল্লাহ আল মোমেন, ১৩ নং ওয়ার্ডে রাজিউর রহমান রাজিব ও একই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী রাজিবের ভাই মো. সাখাওয়াত উল্লাহ শিপন। রাজিব বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আবদুর রহমান সানির শ্বশুর। এছাড়াও ১৪ নং ওয়ার্ডে সেলিম খান, ২১ নং ওয়ার্ডে হারুনুর রশিদ সদস্য, ২২ নং ওয়ার্ডে শাহআলম মজুমদার, ২৪ নং ওয়ার্ডের প্রার্থী নাছিরউদ্দিন এবং সংরক্ষিত আসনের ২ নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী কোহিনুর আক্তার কাকলি।
তৃণমূল নেতাকর্মীদের দাবি, সদ্য পদ পাওয়া ব্যক্তিরা মহানগর কমিটির নেতা হওয়ার যোগ্যতা রাখেন না। তবুও তাদের পদ দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের বহু ত্যাগী নেতা কমিটিতে পদ পায়নি। কেন্দ্রীয় বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া বলেন, কমিটি নিয়ে দলের হাইকমান্ড বলতে পারবেন। আমি এ নিয়ে কিছু বলতে চাই না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন