আমাদের দেশের শেয়ারবাজারে অদ্ভুত অদ্ভুত গুজব ছড়ায় বলে মন্তব্য করেছেন পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার ড. শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, এতে বিনিয়োগকারীরা বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে। ফলে যখন কেনার সময় তখন তারা বিক্রি করে এবং বিক্রির সময় কেনে। শেয়ারবাজারে কেনার সময় লাভ করতে হয়। গতকাল রোববার ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরামের (সিএমজেএফ) উদ্যোগে ‘এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড (ইটিএফ)’ নিয়ে আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএসইসির এই কমিশনার বলেন, আমাদের এই মার্কেটটা আসলে একটু ভিন্ন ধরনের। এখানে অনেক ধরনের উপাদান আছে, যা অন্যান্য বাজারে দেখা যায় না। আমাদের বাজারে দুটি পক্ষ রয়েছে। একটি পক্ষ ফড়িয়া (ট্রেডার)। যারা আসে এবং চলে যায়। আরেকটি পক্ষ হচ্ছে বিনিয়োগকারী। তবে আমাদের দেশে যে পরিমাণ বিনিয়োগকারী থাকা উচিত, তা নেই। একটি বাজারে ট্রেডার এবং বিনিয়োগকারী থাকবেই। তবে আমাদের এখনো চেষ্টা করতে হচ্ছে ট্রেডারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে বিনিয়োগকারী বাড়ানোর। তবে শেয়ারবাজারে টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস করা উভয় পক্ষের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, অনেক সময় একজন বিনিয়োগকারী তথ্য বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগ করতে চাইলেও পারে না। কারণ কিছু কোম্পানি এখনো কোম্পানির সব তথ্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে না। ফলে কেউ বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগ করতে চাইলেও তথ্যের অভাবে তা পারছে না। এ বিষয়টি সমাধানের জন্য গত ২ বছরে চিঠি দিয়েও সম্ভব হয়নি।
তিনি আরও বলেন, যদি একটি কোম্পানির নিরীক্ষিত হিসাব না পাওয়া যায়, তাহলে একজন বিনিয়োগকারী ওই কোম্পানির সম্পর্কে কিভাবে জানবেন। ওই কোম্পানির কি আছে, কি নাই এবং ব্যবসায়িক অবস্থা সম্পর্কে জানতে আর্থিক হিসাবের দরকার। অন্যথায় একজন বিনিয়োগকারীর লোকসানের সম্ভাবনা থাকে। তাই আমরা সব কোম্পানিকে ওয়েবসাইটে আপডেট তথ্য প্রকাশের অনুরোধ করব। এ বিষয়ে আমরা কঠোর হয়ে কাউকে শাস্তি দিতে চাই না। তবে কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো আইনগত সক্ষমতা আমাদের আছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন