শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

সীতাকুণ্ড ডিপোতে বিভীষিকা এখনো নিখোঁজ ৪ ফায়ার সার্ভিস কর্মী

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৬ জুন, ২০২২, ৯:৩৯ এএম

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারীতে বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ আগুন ও বিস্ফোরণে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের চার কর্মী।

ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের এই ৯ জনসহ মোট ৪৯ জনের প্রাণহানির তথ্য জানিয়েছে প্রশাসন। এছাড়া আরও দুই শতাধিক ব্যক্তি দগ্ধ ও আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৫ জনকে ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। ডিপোর দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের ৯ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এর মধ্যে আটটি লাশের নাম-পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। একটি শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন চার জন। তাদেরই কোনো এক জন মারা গিয়েছেন, যা শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন কুমিরা ফায়ার স্টেশনের ফায়ার ফাইটার মো. রানা মিয়া। তার বাড়ি মানিকগঞ্জ। আরেক ফায়ার ফাইটার আলাউদ্দিনের বাড়ি নোয়াখালী, আর সীতাকুণ্ড স্টেশনের ফায়ার ফাইটার সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বাড়ি ফেনী।
নিহতদের মধ্যে মনিরুজ্জামান ছিলেন নার্সিং অ্যাটেনডেন্ট। তার বাড়ি কুমিল্লায়। কুমিরা ফায়ার স্টেশনের লিডার নিহত মিঠু দেওয়ানের বাড়ি রাঙ্গামাটি। নিহতদের মধ্যে আরও আছেন রাঙ্গামাটির নিপন চাকমা ও শেরপুরের রমজানুল ইসলাম। নিহত মো. শাকিল তরফদারের বাড়ি ঠিকানা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের মধ্যে যারা নিখোঁজ রয়েছেন, তাদের মধ্যে কুমিরা ফায়ার স্টেশনের লিডার মো. ইমরান হোসেন মজুমদারের বাড়ি চাঁদপুর। নিখোঁজ রয়েছেন ফায়ার ফাইটার শফিউল ইসলাম, তার বাড়ি সিরাজগঞ্জ। নওগাঁর মো. রবিউল ইসলাম ও রংপুরের ফরিদুজ্জামানেরও কোনো সন্ধান এখনো মেলেনি। তারা দু’জনেই ফায়ার ফাইটার হিসেবে সীতাকুণ্ড ফায়ার স্টেশনে কর্মরত ছিলেন।
শনিবার রাতে ডিপোতে আগুন নেভানোর কাজে ছুটে যান ফায়ার সার্ভিসের কুমিরা ও সীতাকুণ্ড স্টেশনের কর্মীরা। এক পর্যায়ে কনটেইনার বিস্কোরণে তারা রীতিমতো উড়ে যান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন