ম্যাচ জুড়ে প্রাণপণ চেষ্টা করে গেল ইউক্রেন। তুলনামূলক ভালোও খেলল তারাই, কিন্তু প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের বাধা পেরুতে পারল না। রাশিয়ার আগ্রাসনের শিকার দেশটির বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন ভেঙে গেল আত্মঘাতী গোলে। তাদের হারিয়ে কাতারের টিকেট পেল ওয়েলস। ঘুচল তাদের প্রায় সাড়ে ছয় দশকের অপেক্ষা। গতপরশু রাতে কার্ডিফে বাছাইয়ের প্লে-অফ ফাইনালে ১-০ গোলে জিতেছে ওয়েলস। যেখানে বড় অবদান আছে গ্যারেথ বেলের। তার ফ্রি-কিক প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ের মাথায় লেগে জড়ায় জালে। গত মার্চে প্লে-অফ সেমি-ফাইনালে অস্ট্রিয়াকে ২-১ গোলে হারানো ম্যাচে দলের দুটি গোলই করেছিলেন বেল।
আগে একবারই বিশ্বকাপে খেলেছে ওয়েলস। ১৯৫৮ সালের আসরে কোয়ার্টারে-ফাইনালে ব্রাজিলের কাছে হেরেছিল তারা। ৬৪ বছর পর আবার তাদের দেখা যাবে বিশ্ব মঞ্চে। ১৯৯১ সালে স্বাধীনতা লাভের পর দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপে খেলার হাতছানি ছিল প্লে-অফ সেমি-ফাইনালে স্কটল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারিয়ে আসা ইউক্রেনের সামনেও। পূরণ হলো না তাদের আশা। ২০০৬ সালের আসরে কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠেছিল দলটি। তবে অপেক্ষা বাড়ল তাদের। আগামী নভেম্বরে শুরু হতে যাওয়া কাতার বিশ্বকাপে ওয়েলস খেলবে ‘বি’ গ্রুপে। যেখানে তাদের তিন প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান।
আগে একবারই বিশ্বকাপে খেলেছে ওয়েলস। ১৯৫৮ সালের আসরে কোয়ার্টার-ফাইনালে ব্রাজিলের বিপক্ষে হেরেছিল তারা। দেশকে বিশ্বকাপে নিতে পারায় বলতে গেলে বেলের ক্যারিয়ারও পেল পূর্ণতা। ম্যাচের পর স্কাই স্পোর্টসকে দেওয়া সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকারে অনুভূতি ঠিকঠাক প্রকাশ করতে পারছিলেন না ৩২ বছর বয়সী তারকা, ‘ওয়েলস ফুটবল ইতিহাসে এটা সবচেয়ে বড় সাফল্য। আমরা বিশ্বকাপে খেলব! স্বপ্নটা পূরণ হলো। আমি শব্দ খুঁজে পাচ্ছি না। আমি খুব খুশি যে এই অসাধারণ সমর্থকদের জন্য আমরা এটা করতে পেরেছি।’
চোট ও নানা সমস্যায় গত কয়েক মৌসুমে ক্লাব ফুটবলে সেভাবে খেলারই সুযোগ পাননি বেল। তবে ওয়েলসের হয়ে ঠিকই আলো ছড়িয়ে যাচ্ছেন। গত মার্চে প্লে-অফের সেমি-ফাইনালে অস্ট্রিয়াকে ২-১ গোলে হারানো ম্যাচে দলের দুটি গোলই করেছিলেন তিনি। বিশ্বকাপ নিশ্চিতের পর বেল নিজেও বললেন, দেশের হয়ে পারফর্ম করাটা সহজ ছিল না তার জন্য, ‘কাজটা কঠিন ছিল। গত তিন-চার সপ্তাহে আমি খুব বেশি ফুটবল খেলিনি সমস্যাগুলো কাটিয়ে ওঠাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমি আমার সবটা দিয়েছি।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন