গত বছর মে মাসে প্রথমবারের মতো মনোনয়ন পেয়ে আইসিসির ‘প্লেয়ার অব দ্য মান্থ’ নির্বাচিত হয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। এক বছর পর আবারও সেই মে মাসের সেরা ছেলে ক্রিকেটারের লড়াইয়ে সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশের এই অভিজ্ঞ তারকা ব্যাটারের বাকি দুই প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন শ্রীলঙ্কার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ও আসিথা ফার্নান্দো। গতকাল নিজেদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে তিন জনের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করেছে আইসিসি। গত মাসের পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থার বিচারে মনোনয়ন পেয়েছেন মুশফিক, ম্যাথিউস ও আসিথা।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঘরের মাটিতে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশ ১-০ ব্যবধানে হারলেও ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে উজ্জ্বল ছিলেন মুশফিক। দুই সেঞ্চুরিসহ তার ব্যাট থেকে আসে মোট ৩০৩ রান। চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্টে ৫ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে টেস্টে তিনিই প্রথম এই কীর্তি স্থাপন করেন।
মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টেস্টে মুশফিকুর সেঞ্চুরিটি ছিল ভীষণ বিপর্যয়ের মাঝে। তিনি যখন উইকেটে যান, তখন বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৩ উইকেটে ১৬ রান। কিছুক্ষণের মধ্যেই রীতিমতো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় টাইগাররা। ২৪ রানে পড়ে যায় ৫ উইকেট। এরপর ষষ্ঠ উইকেটে লিটন দাসের সঙ্গে রেকর্ড ২৭২ রানের জুটি গড়েন মুশফিক। বাংলাদেশ ৩৬৫ রানে অলআউট হয়ে গেলেও তিনি অপরাজিত থাকেন ১৭৫ রানে। উজ্জ্বল পারফরম্যান্সের স্বীকৃতি ইতোমধ্যে আইসিসির টেস্ট ব্যাটিং র্যাঙ্কিংয়ে পেয়েছেন মুশফিক। আট ধাপ এগিয়ে তিনি উঠেছেন ১৭ নম্বরে। এবার দ্বিতীয়বারের মতো মাস সেরার লড়াইয়ে সুযোগ পেয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার সিরিজে দুই সেঞ্চুরিসহ সর্বোচ্চ ৩৪৪ রান করেন ম্যাথিউস। প্রথম টেস্টে দুর্ভাগ্যজনকভাবে ১৯৯ রানে আউট হয়ে যান তিনি। পরের টেস্টে ১৪৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তিনি। ওই সিরিজে সর্বোচ্চ ১৩ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব দেখান আসিথা। দ্বিতীয় টেস্টে ক্যারিয়ারসেরা পারফরম্যান্সে ১৪৪ রানে ১০ উইকেট শিকার করেন তিনি।
একই দিন প্রকাশিত মেয়েদের সংক্ষিপ্ত তালিকায় পাকিস্তানের তুবা হাসান ও বিসমাহ মারুফ এবং জার্সির প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে আইসিসির মাস সেরার লড়াইয়ে জায়গা পেয়েছেন ১৭ বছর বয়সী ট্রিনিটি স্মিথও।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন