সাবেক প্রেসিডেন্ট শহীদ জিয়াউর রহমানকে আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি আখ্যা দিয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ডাকসুর সাবেক জিএস খায়রুল কবির খোকন বলেছেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। আমরা স্বাধীন পতাকা পেতাম না। অন্য বক্তারা বলেন, একজন মেজর স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে স্বাধীনতা পরবর্তী রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন। এরপর দেশের সার্বিক বিষয়ে তিনি আমূল পরিবর্তন করতে নানামুখী উদ্যোগ নেন। যার ফলে আজকে আমরা আধুনিক বাংলাদেশের নাগরিক। কেননা জিয়াউর রহমানের হাত ধরেই দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি, শিক্ষা-সংস্কৃতি এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক সহ বাংলাদেশের প্রতপ্রত্যেকটি খাত নতুনত্ব লাভ করে। বুধবার দুপুরে (৮ জুন) দুপুরে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে নসরুল হামিদ মিলনায়তনে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪১ তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে এই আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দল। অনুষ্ঠানে দোয়া করেন ওলামা দলের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম তালুকদার। পবিত্র কুরআন থেকে তিলাওয়াত করেন মৎসমৎস্যজীবী দলের মাওলানা আশরাফ আলী।
মৎস্যজীবী দলের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব মোঃ আবদুর রহিমের পরিচালনায় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ডাকসুর সাবেক জিএস খায়রুল কবির খোকন। আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সেলিম ভূঁইয়া, কৃষক দলের শহিদুল ইসলাম বাবুল, বিএনপি নেতা মশিউর রহমান বিপ্লব, এমএ হান্নান, মৎস্যজীবী দলের অধ্যক্ষ সেলিম মিঞা, জাকির হোসেন খান, ওমর ফারুক পাটোয়ারী, জাহাঙ্গীর আলম সনি, কাজী কামাল উদ্দিন আহমেদ বাঁধন মিয়া, এম এ ওয়াজেদ, এমএ হান্নান মল্লিক, জহিরুল ইসলাম বাসার, আমির হোসেন আমির, কামাল উদ্দিন চৌধুরী টিটো, ফজলে কাদের সোহেল, মাহবুব আলম সিকদার, অহিদ রানা, জামালপুর জেলা সভাপতি আবদুল হালিম, ঢাকা জেলার আহ্বায়ক মোকলেছুর রহমান খান ইলিয়াস শাহী, নারায়ণগঞ্জ মহানগরের নাসিরুদ্দিন জাহান সাগর, অ্যাডভোকেট মনির হোসেন মারুফ, বাকীবিল্লা প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথি খায়রুল কবির খোকন বলেন, আমাদের নেতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি। তার ঘোষণায় উজ্জীবিত হয়ে দেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন করেছেন। এরপর তিনি রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তার হাত ধরেই বাংলাদেশে গার্মেন্টস শিল্প স্থাপন, জনশক্তি রফতানি, খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন ও রফতানি করেন। তার অবদান বলে শেষ করা যাবেনা। তার জন্ম না হলে আমরা বাংলাদেশ ও স্বাধীন পতাকা পেতাম না। তিনি ছিলেন আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশেষ দূত।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যখন নিষ্ক্রিয় ছিলেন তখন জিয়াউর রহমান উই রিভোল্ট বলে পাকিস্তান বাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। এরপর স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেন ও যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মৎস্যজীবী দলের কেন্দ্রীয় নেতা নাদিম চৌধুরী, ফরিদ আহমেদ মানিক, কুমিল্লা উত্তর জেলার লিয়াকত আলী খান, রজব আলী, অহিদ রানা, শাহিন উদ্দিন চৌধুরী স্বপন, জাহিদুল আলম মিলন, শহিদ ইল্লাহ, শরিফুর রহমান রিপন, রনি আক্তা, আবু কাওসার, আল ইমরান, ইয়াসিন মোল্লা, গিয়াস উদ্দিন, ইমদাদুর রহমান, আব্দুর রশিদ, মোঃ সায়েম উদ্দিন সিয়াম ও ফতুল্লা থানার ওমর ফারুক নাঈম প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন