নয় বছর পর ফুটবল বিশ্বকাপের স্বপ্নের ট্রফি এলো বাংলাদেশে। চকচকে সোনালী ট্রফিটি বুধবার ঢাকায় এলেও নানা আনুষ্ঠানিকতা শেষে গতকাল সকালে তা রাখা হয় হোটেল রেডিসনে। উপলক্ষ্য আমন্ত্রিত বিশেষ অতিথিদের ট্রফির সঙ্গে ছবি তোলার পর্ব। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শেষ দুপুর পর্যন্ত অতিথিরা বিশ্বকাপ ট্রফির সঙ্গে ছবি তোলার সুযোগ পেয়েছেন। সকাল ১১টা থেকে তুমুল বৃষ্টি শুরু হলেও ট্রফি দেখতে আসা দর্শনার্থীরা মোটেই বিরক্তিভাব প্রকাশ করেননি। তারা হোটেল রেডিসনের উৎসবমুখর পরিবেশে বৃষ্টিতে ভিজেও বিশ্বকাপের স্বপ্নের ট্রফির সঙ্গে ছবি তুলতে পেরে আনন্দিত।
সকাল সাড়ে দশটায় যখন ছবি তোলা শুরু হয়, তার একটু পরই বেরসিক বৃষ্টির হানা। শুরু থেকে ছবি তোলার জন্য ধরা লাইন তখনই গেল ভেঙে। সবাই গিয়ে আশ্রয় খুঁজেন রেডিসনের লবির সামনে। তবুও রক্ষা পেলেন না অনেকেই। ভিজতে দেখা গেছে অনেক দর্শনার্থীকে। বৃষ্টির কারণে হোটেল রেডিসনের বাইরেও ছিল যানজট। তাতে দর্শনার্থীদের ভোগান্তি কেবল বেড়েছেই। তবে এত কিছুর পরও খুব কাছ থেকে বিশ্বকাপের ট্রফি দেখতে পেরে, এর সঙ্গে ছবি তুলতে পেরে যেন সবাই তৃপ্ত। ছবি তুলে বের হওয়ার পর দর্শনার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে স্মারকও। নানা ঝক্কি-ঝামেলার পরও ছবি তুলতে এসেছেন অনেকেই। তাদের একজন ফুটবল সংগঠন মোহন রায়। পাইওনিয়ার লিগের ক্লাব বরিশাল ফুটবল একাডেমির ম্যানেজার তিনি। ঝুম বৃষ্টিতে ভিজে মতিঝিল থেকে এয়ারপোর্ট রোডস্থ হোটেল রেডিসনে আসেন তিনি। মোহন বলেন,‘যানজটের শহর ঢাকার রাস্তায় বৃষ্টিতে ভেজা নিয়মিত ঘটনা হলেও ট্রফির সঙ্গে ছবি তোলার ব্যাপারটা না থাকলে হয়তো আসতাম না। বৃষ্টি, নিজ ব্যবসা ও ক্লাবের কিছু জরুরি কাজকে উপেক্ষা করে এসেছি। কারণ একজন ফুটবলপ্রেমী হিসেবে আমার কাছে বিশ্বকাপ ট্রফি সব কিছুর ঊর্ধ্বে। তাই আজ একেই প্রাধান্য দিয়েছি। ভেজা টি-শার্ট বদলে সঙ্গে আনা আরেকটি টি-শার্ট গায়ে চাপিয়ে ছবি তুলেছি। এটা আমার কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’
নারী দর্শনার্থীদের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো। বৃষ্টিতে তাদের ভোগান্তিটাও বেড়েছে বহুগুণে। তবে বিশ্বকাপের আসল ট্রফির দেখা পেয়ে সব কষ্ট দূর হয়ে গেছে বলে জানান ইডেন কলেজের ছাত্রী তানিয়া আক্তার, ‘ভোগান্তি ছিল, বৃষ্টিতে এখানে আসতে গিয়ে বেশ ঝক্কি হয়েছে। পুরোটাই ভিজে গেছি। তবে বিশ্বকাপ ট্রফিটা যখন দেখলাম তখন সব কষ্টের কথা ভুলেই গেছি। যে ট্রফি পেলে, ম্যারাডোনা, জিদান, জাভিরা ছুঁয়েছেন, সেই ট্রফি কাছ থেকে দেখছি! ছবি তুলেছি ট্রফির সঙ্গে। এরপর আর সব কষ্টের কথা মনে থাকে কীভাবে?’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন