সেভেরোডোনেৎস্কের একটি রাসায়নিক প্ল্যান্টে লুকিয়ে থাকা ইউক্রেনীয় বাহিনী বাহিনী বুধবার সকালে তাদের অস্ত্র ফেলে দিয়ে আত্মসমর্পণ করেছে। রাশিয়ার পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মস্কোর বাহিনী এখন কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহরটির নিয়ন্ত্রণ অর্জনের কাছাকাছি চলে এসেছে। এটি হচ্ছে ডনবাস অঞ্চলের সর্বশেষ এলাকা যেটি এখনও পুরোপুরি জয় করতে পারেনি রুশ সেনা। ইউক্রেন বলেছে যে, সেখানকার আজোট রাসায়নিক কারখানার ভেতর ৫০০ জনেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক এবং একটি অনির্দিষ্ট সংখ্যক সৈন্য আটকা পড়েছে।
রাশিয়ার ন্যাশনাল ডিফেন্স ম্যানেজমেন্ট সেন্টারের প্রধান মিখাইল মিজিনসেভ ইন্টারফ্যাক্স নিউজ এজেন্সিকে বলেছেন যে. ইউক্রেনীয় সৈন্যদের উচিত ‘তাদের বুদ্ধিহীন প্রতিরোধ বন্ধ করা এবং অস্ত্র সমর্পণ করা।’ তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, বেসামরিক ব্যক্তিরা একটি মানবিক করিডোর দিয়ে চলে যেতে সক্ষম হবে। যদিও জানা গেছে যে, শহরের বাইরে তিনটি সেতুর মধ্যে দুটি ইউক্রেনীয় সেনারা ধ্বংস করে দিয়েছে। তৃতীয়টি পুরানো এবং অনিরাপদ।
লুহানস্কের গভর্নর সেরহি হাইদাই বলেছেন যে, আজোটের বেসামরিক লোকেরা ‘আশ্রয়কেন্দ্রে আর খাততে পারছে না, তারা তাদের মানসিক অবস্থার শেষ প্রান্তে রয়েছে’। পরিস্থিতি মারিউপোলের আজভস্টাল স্টিল প্ল্যান্টের যুদ্ধের কথা মনে করিয়ে দেয়, যেখানে শত শত যোদ্ধা এবং বেসামরিক লোক মে মাসে তাদের আত্মসমর্পণ পর্যন্ত আশ্রয় নিয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের সৈন্যরা রাশিয়ার হেফাজতে রয়েছে।
হাইদাই বলেছেন যে, রাশিয়ানরা সেভেরোডোনেৎস্কের প্রায় ৮০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করে এবং তিনি অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে বলেছিলেন যে, বেসামরিক লোকদের ব্যাপকভাবে সরিয়ে নেয়া এখন ‘সম্ভব নয়’। এখনও প্রায় ১২ হাজার লোক সেভেরোডোনেৎস্কে রয়ে গেছে।
এদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি মঙ্গলবার রাতে বলেছেন যে, সেভেরোডোনেৎস্ক এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর খারকিভের ক্ষয়ক্ষতি ‘বেদনাদায়ক’। ‘তবে আমাদের ধরে রাখতে হবে - এটি আমাদের রাষ্ট্র,’ তিনি যোগ করেছেন। সূত্র: স্কাই নিউজ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন