বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খেলাধুলা

আলোচনায় বাফুফের বিশাল চাহিদা!

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ জুন, ২০২২, ১২:০০ এএম

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কাছে সব সময়ই নানা পরিকল্পনা ও প্রস্তাবনা দিয়ে থাকে। তবে বাফুফের এবারের প্রস্তাবনা বড় অঙ্কের। ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কাছে তাদের চাহিদা ৪৫০ কোটি টাকা। বাফুফের এই বিশাল চাহিদা গুরুত্ব পেয়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কাছে। যা নিয়ে এখন আলোচনায় মগড়ব মন্ত্রণালয়। তারা ইতোমধ্যে প্রাথমিক সভাও করেছে। শুধু তাই নয়, গতকাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে (এনএসসি) এ নিয়ে একটি কর্মশালাও হয়েছে। এই কর্মশালায় সাবেক ফুটবলার ও ফুটবল সংশ্লিষ্টরা অংশ নেন। পাঁচটি বিষয়ের উপর পাঁচ গ্রুপ আলোচনায় অংশ নেন। প্রতি গ্রুপেই ছিলেন ফুটবলসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। গ্রুপ স্টাডির পর তা আবার পয়েন্ট আকারে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এবং বাফুফের সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিনের সামনে তুলে ধরা হয়। এই কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন বাফুফের তিন নির্বাহী সদস্য সত্যজিৎ দাশ রুপু, বিজন বড়ুয়া ও নুরুল ইসলাম নুরু। দেশের ফুটবলের অভিভাবক সংস্থার আরো কয়েকজন সদস্য এই কর্মশালায় থাকলেও সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং চার সহ-সভাপতির কেউ ছিলেন না।

ফুটবলে অর্থের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে সালাউদ্দিন বলেন, ‘ট্রান্সফার মার্কেটে একজন ফুটবলারের ফি তিন হাজার কোটির উপর। ফুটবলে কি পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ হয় বোঝাই যাচ্ছে।’
দেশের ফুটবল উনড়বয়ন ও গতিশীলতার জন্য সরকারের কাছে ৪৫০ কোটি টাকা চেয়েছে বাফুফে। এই চাহিদা অনুমোদন হলে বছরে ৯০ কোটি টাকার মতো পাবে বাফুফে। প্রতি বছর ৯০ কোটি টাকা আসলেও দেশের ফুটবলে যে সত্যিকারের উনড়বয়নের ছোঁয়া লাগবে এমন নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না বাফুফে সভাপতি, ‘আমাদের চেষ্টা করতে হবে। সেই চেষ্টার এটা একটা মাধ্যম।’
৪৫০ কোটি টাকা অনেক বড় প্রকল্প। দেশের চলতি অর্থ বছরের বাজেটে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের যে বরাদ্দ তাতে নেই এই বিষয়টি। এরপরও এ অর্থ বছর থেকেই কার্যকর করার উদ্যোগ নেবে মন্ত্রণালয়, বলেছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। তার কথায়, ‘এই বাজেটে না থাকলেও বিষয়টি সমন্বয় করার জন্য চেষ্টা করবো আমরা। আশা করি এই বছরের শেষের দিক থেকে কাজ শুরু করা যাবে।’
এই কর্মশালায় প্রিমিয়ার লিগ, জাতীয় দলের অনুশীলন, একাডেমিসহ বিভিনড়ব বিষয়ের ওপর সুপারিশ রাখা হয়েছে। সেই সুপারিশগুলো পরবর্তী সভায় পর্যালোচনা হবে। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিবের সভাপতিত্বে একটি সভা ও প্রতিমন্ত্রীর সভাপতিত্বে আরেকটি সভা অনুষ্ঠিত হবে। কালকের কর্মশালাটি প্রকল্পের একটি ধাপ। বড় প্রকল্প অনুমোদনের ক্ষেত্রে এ রকম কর্মশালা বাধ্যতামূলক।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন