শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খেলাধুলা

বদলে গিয়েই মিরাজের ২০০

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৯ জুন, ২০২২, ১২:০০ এএম

অ্যান্টিগার পেস স্বর্গ উইকেটেও সফলতা পেয়েছেন বাংলাদেশি স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ। তার বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ে কোমড় ভেঙ্গে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের লোয়ার মিডল অর্ডারের। ২২.৫ ওভার বোলিং করে ৫৯ রান দিয়ে নেন ৪টি উইকেট। আর এতেই ক্যারিবীয়ানদের ইনিংস থামে ২৬৫ রানে। সেই সাথে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ২০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করলেন টাইগার অলরাউন্ডার। এর মধ্যে টেস্টে ১৩২, ওয়ানডেতে ৬৪ ও টি-টোয়েন্টিতে ৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি।
অ্যান্টিগায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে মাঠে নামার আগে মিরাজের মোট উইকেটসংখ্যা ছিল ১৯৬। স্বাগতিকদের প্রথম ইনিংসে ৭ রানে কাইল মায়ার্স, ১ রানে জশুয়া ডা সিলভা, শূন্য রানে আলজারি জোসেফকে প্যাভিলিয়নে ফেরান মিরাজ। শেষে জেয়দেন সিলসের উইকেট নিয়ে ২০০ উইকেটের মাইলফলকে পা রাখেন তিনি।
বাংলাদেশের হয়ে ২০০ বা তার বেশি উইকেট নেয়া ষষ্ঠ ক্রিকেটার মিরাজ। ২০০ উইকেট শিকার করতে তার লেগেছে ১০৫ ম্যাচ। তিন ফরম্যাটে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের হয়ে সবচেয়ে বেশি উইকেট সাকিব আল হাসানের। ৩৭৯ ম্যাচে সাকিব নিয়েছেন ৬২৯ উইকেট। এ ছাড়া ৩০৮ ম্যাচে মাশরাফি বিন মুর্তজার ৩৮৯, ২০০ ম্যাচে আবদুর রাজ্জাকের ২৭৯, ১৫২ ম্যাচে মুস্তাফিজুর রহমানের ২৪৯ ও ১৫৭ ম্যাচে মোহাম্মদ রফিকের উইকেট ২২০টি। শুধু স্পিনার বিবেচনা করলে তিনি ৪র্থ। কুলীন এই ছোট্ট তালিকায় সবার ধরাছোঁয়ার বাইরে সাকিব। ২০০ এর খুব কাছে আছেন রুবেল হোসেন। ১৭৩ ইনিংসে তার উইকেট ১৯৩ টি।
প্রথম দুই স্পেলে ব্যর্থ হয়েও দারুণভাবে ফিরে আসার অবদান মুমিনুল হক ও তাইজুল ইসলামকে দিয়েছেন টাইগারদের হয়ে টেস্টে ১২৮ উইকেট নেওয়া এই স্পিন-অলরাউন্ডার।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংসে ব্যাটিং করার সময় শুরুর দিকে ২ স্পেলে বোলিং করেও সফলতা পাচ্ছিলেন না। ১ম স্পেলে ছিলেন বাংলাদেশের সবচেয়ে খরুচে বোলার। কিন্তু দ্বিতীয় দিনের লাঞ্চের পর থেকেই নিজের নিয়ন্ত্রন ফিরে পেতে থাকেন ধীরে ধীরে। পেয়েছেন ৪ উইকেট। আর এ সফলতার কৃতিত্ব দিলেন সদ্যই সাবেক হওয়া অধিনায়ক মুমিনুল ও এই টেস্টে একাদশের বাহিরে থাকা তাইজুলকে। মিরাজ বলেন, ‘আমি প্রথম ২-৩ স্পেলে হতাশ ছিলাম, কারণ ভালো বোলিং হচ্ছিল না। ঠিক জায়গায় বল করতে পারছিলাম না। তখন মুমিনুল ভাই ও তাইজুল ভাই আমাকে দারুণ সমর্থন দিয়েছেন। তাদের দুজনকে ধন্যবাদ দিতে চাই।’
বাংলাদেশের ১ম ইনিংসের ১০৩ রানের জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যখন বড় লিডের পথে হাঠছিল তখন মিরাজ চিরাচরিত কৌশল, রান চেক দিয়ে বোলিং করার সিধান্ত নেন। তিনি জানান, ‘প্রথমদিকে আমি আসলে উইকেটের জন্য বল করেছি। এটাই সমস্যা হয়েছিল। এরপর আমি রান আটকানোর দিকে যাই। ওভার প্রতি আড়াই রানের মত দিলে সুযোগ আসবে বলে মনে করেছিলাম। এমনই হয়েছে। এই পিচে শুধু এক জায়গায় বল করে যাওয়াটাই সঠিক সিধান্ত। এতে করে ব্যাটার আউট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।’
বয়সভিত্তিকে নিজেকে প্রমাণ করে বাংলাদেশ জাতীয় দলে জায়গা করে নেন মিরাজ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল ২০১৬ সালে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেক সিরিজে ২ ম্যাচে ১৯ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। ২ ম্যাচের সিরিজের মধ্যে প্রথম ৭ উইকেট ও দ্বিতীয় ১২ উইকেট শিকার করেন মিরাজ। দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশও জয় পায় ১০৮ রানের বড় ব্যবধানে।


বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীরা
বোলার ইনিংস উইকেট
সাকিব আল হাসান ৪১৭ ৬২৯
মাশরাফি বিন মুর্তজা ৩২২ ৩৮৯
আব্দুর রাজ্জাক ২০৫ ২৭৯
মুস্তাফিজুর রহমান ১৬০ ২৪৯
মোহাম্মদ রফিক ১৭১ ২২০
মেহেদী হাসান মিরাজ ১২৭ ২০০

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন