অ্যান্টিগা টেস্টে নিশ্চিত জয়ের পথে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তৃতীয় দিনের খেলা শেষে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৪৯ রান। ফলে জয়ের জন্য এখনও ৩৫ চাই ওয়েস্ট ইন্ডিজের। বাংলাদেশের চাই ৭ উইকেট।
মাত্র ৮৪ রানের লক্ষ্য দিয়েও দারুণ লড়াই করছে বাংলাদেশ। এর পুরোটাই খালেদের হাত ধরে। ইনিংসের দ্বিতীয় ও নিজের প্রথম ওভারের প্রথম বলেই ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটকে বিদায় করেন এই পেসার। লেগ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা মেরে নুরুল হাসান সোহানের গ্লাভসে ধরা পড়েন ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক।
চার বল পরে কট বিহাইন্ড হয়ে যান রেমন রিফার। খালেদের অফ স্টাম্পের বাইরের বল ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান। তবে বাড়তি লাফানো বল তার গ্লাভসে ছোবল দিয়ে যায় কিপারের কাছে।
ওভারে জোড়া উইকেট হারানোর ধাক্কা সামাল দেওয়ার আগেই এনক্রুমা বনারকে হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। চমৎকার এক ডেলিভারিতে বনারের স্টাম্প এলোমেলো করে দেন খালেদ।
৯ রানে ৩ উইকেট নেওয়ার সুবিধা কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ। সফরকারীদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে প্রতিরোধ গড়েন ক্যাম্পবেল ও ব্ল্যাকউড। কিছু আলগা বল পেয়ে মারেন বাউন্ডারিও। তাদের ব্যাট জয় স্বাগতিকদের দৃষ্টি সীমাতেই।
অ্যান্টিগা টেস্টে এক পর্যায়ে ইনিংস ব্যবধানে জয়েরই আশা জাগিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে ২ উইকেটে ৫০ রান নিয়ে দিন শুরু করে বাংলাদেশ। প্রথম সেশনে চার উইকেট তুলে নেয় স্বাগতিকরা।
লাঞ্চ বিরতিতে যাওয়ার সময় ৪৭ রানে পিছিয়ে ছিল বাংলাদেশ। তবে সাকিব ও সোহান রেকর্ড গড়া ১২৩ রানের সপ্তম উইকেট জুটি দলকে এনে দেয় লিড। দ্বিতীয় নতুন বল এই দুই ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে লক্ষ্যটা একশর নিচেই রাখেন কেমার রোচ। তবে সেই রানও অনেক কঠিন করে তুলেছিলেন খালেদ। তবে দিন শেষে জয়ের দুয়ারেই দাঁড়িয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
উল্লেখ্য, অ্যান্টিগা টেস্টে ব্যাটিং ব্যর্থতায় প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় ১০৩ রানে। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সংগ্রহ করে ২৬৫ রান। ফলে ১৬২ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংয়ে ২৪৫ রান তোলে বাংলাদেশ। ফলে জিততে মাত্র ৮৩ রানের লক্ষ্য পায় স্বাগতিকরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন