এখন অন্ধকারে নিমজ্জিত রমনাস্থ শেখ জামাল জাতীয় টেনিস কমপ্লেক্স। বিদ্যুৎ না থাকায় পানিও তোলা যাচ্ছে না। মলমূত্রের দূর্গন্ধে এই কমপ্লেক্সের আশপাশে থাকা দায়। প্রায় ৩২ লাখ টাকা বিল বকেয়া পড়ায় বিদ্যুৎ লাইন কেটে দিয়ে গেছে বিদ্যুৎ উন্নয়ণ বোর্ড। ফলে অন্ধকার আর দুর্গন্ধকে সাথি করে এখানে বসবাস করছেন টেনিস কমপ্লেক্সের কর্মচারীরা।
গত বছর জানুয়ারিতে রমনা জাতীয় টেনিস কমপ্লেক্সের নাম পরিবর্তন করে বঙ্গবন্ধুর মেঝ ছেলে শহীদ লে. শেখ জামালের নামে নামকরণ করা হয়। গেল তিন বছর ধরে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) সচিবরাই এই ফেডারেশনের অ্যাডহক কমিটিতে সাধারণ সম্পাদকের পদে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০১৮ সালে প্রায় ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে কমপ্লেক্সের সংস্কার করা হয়। আটটি নতুন টেনিস কোর্ট তৈরি (ফ্লাড লাইটসহ), একটি জিমনেসিয়াম নির্মাণ, প্রধান গেট সংস্কার ও আধুনিকায়ন, আবাসিক সুবিধা, মিডিয়া সেন্টার স্থাপনসহ আধুনিকায়ন করা হয়। কিন্তু বাহ্যিক দিক দিয়ে সংস্কার হলেও বিদ্যুৎ বিলের বকেয়া নিয়ে কারো মাথাব্যথা ছিল না। তাই এই বিশাল অংকের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পড়ে যায়। বিদ্যুৎ না থাকায় মোটরের মাধ্যমে পানি তোলা যাচ্ছে না। আর তাতেই বাথরুমে জমছে মলমূত্র। এতে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে চারিদিকে। ফলে এখন বিদ্যুৎ না থাকায় পুরো কমপ্লেক্সজুড়েই সমস্যা তৈরি হয়েছে। বিষয়টি স্বীকার করে এনএসসি’র সচিব ও টেনিস ফেডারেশনের বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক পরিমল সিংহ বলেন, ‘শেখ জামাল টেনিস কমপ্লেক্স পুরো অন্ধকার এটা বলা যাবে না। একটি ফেস চালু আছে। প্রায় ৩২ লাখ টাকা বকেয়া থাকায় বাকি ফেসগুলো কেটে দিয়ে গেছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড।’ তিনি যোগ করেন, ‘ফেডারেশনের হিসাব দেখে আমি বলেছিলাম ৫/৭ লাখ টাকা দিয়ে চালু করা যায় কিনা? কিন্তু বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড থেকে বলা হয়েছে, ১০ লাখ টাকা পরিশোধ না করলে বিদ্যুৎ পুন:সংযোগ দেয়া যাবে না।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন